পরীক্ষায় পাশের তদবীর - চাকরির পরীক্ষায় পাশ করার দোয়া

পরীক্ষায় পাশের তদবীর জানলে ভালো ফলাফল অর্জন করা সম্ভব। তাই যে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় পাশ করার জন্য সহজ উপায় অনুসরণ করতে চান তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি। চাকরির পরীক্ষায় পাশ করার দোয়া, পরীক্ষায় পাশ করার প্রত্যেকটি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করেছি।

পরীক্ষায় পাশের তদবীর অনুসরণ করে কাঙ্খিত ফলাফল অর্জন করা যায়। সহজে পরীক্ষায় পাশ করতে চাচ্ছেন? অথবা প্রচুর পরিমাণে পড়াশোনা করার পরেও পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারছেন না তাহলে সহজ কিছু উপায় অনুসরণ করুন। সহজ কিছু তদবীর ও আমল করুন এগুলো আপনার পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে সাহায্য করবে। পরীক্ষায় সহজে পাশ করার জন্য প্রত্যেকটি উপায় জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পরীক্ষায় পাশের তদবীর বলতে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য কিছু পরিকল্পিত পদ্ধতি। সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে তদবীর করলে সহজে পরীক্ষায় পাশ করা যায়। এই তদবীর হতে পারে ভালোভাবে পড়াশোনা, ভালো ব্যবস্থাপনা, ভালো পরিকল্পনা, কিছু গোপনীয় নিয়ম অনুসরণ করা অথবা অনুশীলন করা। অনেকে চাই শুধুমাত্র তদবীর করে পরীক্ষায় পাশ করতে।

শুধুমাত্র পরীক্ষায় তদবীর এর মাধ্যমে পাশ করা সম্ভব নয়। আপনাকে পরীক্ষায় পাশ করার জন্য পরীক্ষা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখতে হবে। অধ্যাবস্য ও অনুশীলনের মাধ্যমে পরীক্ষায় পাশ করা সম্ভব। তবে তদবীর করলে আল্লাহর এবাদত অথবা কিছু আমল করলে তিনি আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি করবেন। পরীক্ষায় পাশের তদবীর জানা থাকলে সেটি অনুসরণ করলে শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস বাড়ে। ফলে শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় পাশের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। নিচে পরীক্ষায় পাশের তদবীর দেওয়া হলোঃ

এক টুকরো কাগজে "রাব্বি জিদনী ইলমা" অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন। জাফরান কালিতে লিখে এটি মাথার চুলের সাথে বেঁধে নিন। পরীক্ষার হলে গিয়ে প্রশ্নপত্র হাতে নিয়ে মনে মনে এই তদবীর ৭বার পাঠ করুন। এরপর প্রশ্নপত্র খুলে প্রশ্নপত্র দেখে প্রশ্নের উত্তর লিখা শুরু করুন।

এই আমলটি করলে আপনি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারবেন। অল্প পড়াশোনা করেও সেগুলো স্মৃতিশক্তিতে দীর্ঘক্ষণ স্মরণ করে রাখতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ।

অনেকে চান চাকরির পরীক্ষায় পাশ করতে। তাই তারা শুধুমাত্র চাকরির পরীক্ষায় পাশ করার দোয়া খোঁজ করেন। প্রত্যেকে চাকরি করেন রিজিকের উদ্দেশ্যে। আপনার অন্তরে বিশ্বাস রাখা উচিত যে আল্লাহ যদি আপনার রিজিক ওই চাকরিতে রাখেন তাহলে নিশ্চয়ই ওই চাকরি আপনার হবে। হয়তোবা আগে অথবা পরে। তাই অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করা প্রয়োজন। 

চাকরির পরীক্ষার জন্য সর্বপ্রথম প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। কেননা শুধুমাত্র দোয়া করে আপনি কখনোই পরীক্ষায় পাশ করতে পারবেন না। তবে মহান আল্লাহ চাইলে পারেন। তবে আপনি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারেন। এর ফলে মহান আল্লাহ আপনার প্রস্তুতির মধ্যে থেকেই আপনার রিযিক বৃদ্ধির জন্য পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন গুলো আপনার জন্য সহজ করতে পারেন। 

এতে আপনি সহজে চাকরি পরীক্ষায় পাশ করে চাকরি পাবেন। তবে একটি কথা সব সময় মনে রাখবেন কখনো পরিশ্রম ছাড়া সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। তাই আপনি যে পরীক্ষাটি দিতে যাচ্ছেন সেই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পাশাপাশি মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। এতে তিনি আপনার জন্য সেই পরীক্ষা সহজ করবেন। নিচে চাকরির পরীক্ষায় সফলতার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দোয়া দেওয়া হলোঃ

চাকরির পরীক্ষায় পাশ করার জন্য পাঠ করুন " ওয়াকুল রাব্বি জিদনি ইলমা"

সহজতা ও সফলতার জন্য দোয়া করুন "আল্লাহুম্মা লা সাহলা ইল্লা মা জা আলতা হু সাহলান, ও আনতা তাজআালুন হাজনা ইযা শিতা সাহলান।

আপনি চাকরির পরীক্ষায় প্রস্তুতি নেওয়ার পর নিয়মিত এই দোয়াগুলো পড়তে পারেন। অথবা পরীক্ষার হলে প্রবেশের পূর্বে উপরে দেওয়া এই দোয়াগুলো পড়ুন। এতে মহান আল্লাহ চাইলে আপনার পরীক্ষার প্রশ্ন আপনার জন্য সহজ করতে পারেন। আশা করি চাকরির পরীক্ষায় পাশ করার দোয়া জানতে পেরেছেন।

প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী চাই পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে। প্রচুর অধ্যায়ন করেও অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারেন না। বিষয়টা কেমন হয় যদি অল্প অধ্যায়ন করে ভালো রেজাল্ট করা যায়। বিষয়টা নিশ্চয়ই ভালো হবে। পরীক্ষায় পাশের তদবীর করলে সহজে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা যায়। 

তবে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার জন্য প্রথম পদক্ষেপ হলো মনোযোগ সহকারে অধ্যায়ন করা। আপনি যতটুকুই অধ্যায়ন করুন না কেন পড়াশোনার সময় শুধুমাত্র আপনার মনোযোগ পড়াশোনায় রাখুন। এক হাতে মোবাইল টিপছেন আবার একটু পড়ছেন, আবার এক হাতে মোবাইল টিপছেন আবার একটু পড়াশোনা করছেন এভাবে কখনোই আপনার পড়াশোনা ভালো হবে না।

পড়তে বসলে মোবাইল দূরে রাখুন শুধুমাত্র পড়ার প্রতি মনোযোগী হন। পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার জন্য মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করতে পারেন। মহান আল্লাহ চাইলে আপনার দোয়া কবুল করতে পারেন। নামাজের পর অথবা যেকোনো সময় পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার জন্য দোয়া করতে পারেন। নিচে কিছু দোয়া দেওয়া হলোঃ

জ্ঞান ও বুদ্ধি বৃদ্ধির জন্য দোয়া করুনঃ

"রাব্বি জিদনি ইলমা" অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।

পরীক্ষার কঠিন বিষয় গুলো যাতে সহজ হয় এইজন্য এই দোয়া পাঠ করুনঃ "আল্লাহুম্মা লা সাহলা ইল্লা মা জা'লতাহু সাহলা, ওয়া আন্তা তাজ'আললু হযনা ইযা শি'তা সাহলা" অর্থঃ হে আল্লাহ আপনি যেটাকে সহজ করেন সেটাই সহজ হয়, আর আপনি চাইলে কঠিন জিনিস কেউ সহজ করে দিতে পারেন।

অনেকে চান না পড়ে পরীক্ষায় পাশ করার দোয়া করে পরীক্ষায় পাশ করতে। কিন্তু আপনি শুধুমাত্র দোয়া করে পরীক্ষায় পাশ করতে পারবেন না। এর জন্য আপনাকে পড়তেও হবে। তবে আপনি মুসলিম ধর্মের অনুসারী হলে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারেন। তিনি চাইলে আপনার পরীক্ষা সহজ করবেন। এতে আপনি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারবেন। 

কেননা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখলে, আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তিনি তার প্রিয় বান্দাদের সাহায্য করেন। তাই কখনোই এরকম বুদ্ধি মাথায় নিয়ে আসবেন না। পরীক্ষায় পাশ করার জন্য পড়াশোনা করা প্রয়োজন। না পড়ে পরীক্ষায় কখনো পাশ করা যায় না। পরীক্ষায় পাশ করার জন্য উপরে দেওয়া দোয়া গুলো পাঠ করতে পারেন।

অনেকে চান না পড়ে পরীক্ষায় পাশ করতে। তাই নিয়মিত না পড়ে পরীক্ষায় পাশ করার উপায় সম্পর্কে খোঁজ করেন। যারা না পড়ে পরীক্ষায় পাশ করতে চান তাদেরকে কয়েকটি উপায় অনুসরণ করতে হবে। না পড়ে পরীক্ষায় পাশ করার জন্য নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকুন। এতে প্রতিদিনের ক্লাস করলে প্রতিদিনে ক্লাসের পড়া ক্লাসে শুনে মনে রাখতে পারবেন। 

না পড়ে পরীক্ষায় পাশ করার জন্য দ্বিতীয় উপায় হল ক্লাস ফাঁকি না দেওয়া। ক্লাসের পড়া মনোযোগ সহকারে বুঝে পড়া। ক্লাসের শিক্ষকের লেকচার মনোযোগ সহকারে শোনা। এতে যে বিষয়ে উপরে ক্লাসে পড়ানো হবে সেগুলো মনোযোগ সহকারে পড়লে ক্লাসের পড়া ক্লাসে মুখস্ত হয়ে যাবে। এতে আপনি না পড়ে পরীক্ষায় সহজে পাশ করতে পারবেন।

অনেকে রাব্বি জিদনি ইলমা পুরো দোয়া আরবিতে খোঁজ করেন। রাব্বির জিদনি ইলমা এটি মূলত একটি দোয়া। যে ব্যক্তি এই দোয়াটি বেশি বেশি পাঠ করেন আল্লাহ ঐ ব্যক্তির স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করেন। এই দোয়াটি আমল করলে আল্লাহ ঐ ব্যক্তির জ্ঞান বৃদ্ধি করেন। তাই জ্ঞানবৃদ্ধির জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত বেশি বেশি এই দোয়া পাঠ করা।

যাদের স্মৃতিশক্তি অনেক দুর্বল, জ্ঞান অনেক কম লেখাপড়ায় মনোযোগ আসেনা, লেখাপড়া করলে দীর্ঘক্ষণ স্মরণ রাখতে পারেন না তারা নিয়মিত এই আমলটি করলে মহান আল্লাহ আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি করবেন। নিচে রাব্বি জিদনি ইলমা পুরো দোয়াটি আরবিতে দেওয়া হলোঃ

আরবিঃ رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।

অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট কে না করতে চায়। তাইতো নিয়মিত অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় সম্পর্কে প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী খোঁজ করেন। অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। সেই উপায়গুলো অনুসরণ করলে অল্প পড়েও ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব। অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার জন্য মানসিক ও শারীরিক বিশ্রাম নিন। 

হইহুল্লোড় না করাই ভালো যদিও করেন তবে প্রথমে বিশ্রাম ও রিলাক্স করুন। এরপর মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা শুরু করুন। ভালো রেজাল্ট করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ টপিক গুলো আগে পড়ুন। পরীক্ষায় বেশি নম্বর আসে এমন টপিক আগে আগে পরে শেষ করুন। বিশেষ করে গাণিতিক বিভিন্ন সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য শর্টকাট টেকনিক অবলম্বন করুন। 

দীর্ঘ সময়ের চাইতে শর্টকাট টেকনিকগুলো আপনার সময় বাঁচাতে সাহায্য করবে। পড়ে মুখস্ত করুন এরপর সেগুলো পুনরায় প্র্যাকটিস করুন। দৈনিক নির্দিষ্ট সময় স্টাডি প্ল্যান মেনে পড়াশোনা করুন। পড়তে বসলে সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্যান্য বিঘ্ন এড়িয়ে চলুন, অল্প সময়ে গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। বিগত বছরের প্রশ্ন দেখে কোন বিষয়ে বেশি প্রশ্ন আসবে সে বিষয়ে নিশ্চিত হন। 

যে টপিক গুলো গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো চিহ্নিত করে রাখুন এবং পরীক্ষার পূর্বে সেগুলো ভালোভাবে পড়ুন। আপনি যদি উপরে দেওয়া এই উপায় গুলো অনুসরণ করেন তাহলে অল্প পরেও ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন।

আজকের পুরো আর্টিকেলটিতে পরীক্ষায় পাশের তদবীর, চাকরির পরীক্ষায় পাশ করার দোয়া, এছাড়া পরীক্ষায় পাশ করার প্রত্যেকটি সহজ উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আশা করি বিষয়গুলো জেনে উপকৃত হবেন। আমি চাই আপনাদের সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে। তাই আজকের আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনাদের প্রিয়জনদের উদ্দেশ্যে শেয়ার করুন। 

নিয়মিত এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে অবশ্যই আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করতে ভুলবেন না। অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের ক্যাটাগরি গুলো ঘুরে আসুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।