গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি তার বিস্তারিত

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার এ সম্পর্কে এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে জানতে আগ্রহে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুব কাজে দিবে।


এই আর্টিকেলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের যাবতীয় যেগুলো কাজ রয়েছে, কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে হয়, গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কোর্স ফি কত, এবং একজন সফল গ্রাফিক্স ডিজাইনার সাথে কত সময় লাগতে পারে, তার যাবতীয় সম্পর্কে জানতে এ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

পেজ সূচিঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি তার সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। কারণ গ্রাফিক্স ডিজাইন বর্তমান ডিজিটাল যুগে এমন একটি সৃজনশীল এবং জনপ্রিয় বুদ্ধিদিপ্ত কাজ, যা একজন মানুষ ঘরে বসেই করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারে। কিন্তু আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজের অনেক মান ভালো বলেই শুরু করে দিবেন, কোনো কিছু না জেনে তাহলে হবেনা।

আপনাকে সবার আগে জানতে হবে গ্রাফিক্স ডিজাইন কি, তারপর গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ গুলো কি সে কাজ গুলোর সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। এবং সে কাজ গুলোর উপরে ধারণা নেওয়ার পর, আপনি যেকোন একটি আপনার পছন্দ মতো বেছে নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি সে সম্পর্কে অনেকেই জানেনা, কিন্তু গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করতে চাই। তাই যাদের গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজের সম্পর্কে ধারনা নাই, তাদের জন্য এই অংশে বিস্তারিত বলা হয়েছে। এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনে হচ্ছে এমন একটি ভিজ্যুয়াল প্রক্তিয়া, যার মাধ্যমে আপনি রঙ, ফন্ট, ছবির আকৃতি এবং বিভিন্ন উপাদান একত্রিত করে, এমন ভাবে মানুষের কাছে উপস্থাপন করা হয়ে থাকে, যেটার প্রতি মানুষ আকর্ষশীত হয়ে যায়।

এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রধান উদ্দেশ্য কিন্তু মানুষের কাছে একটি জটিল তথ্যকে সহজ ভাবে উপস্থাপন করা। কারণ গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রায় সব ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়ে থাকে, যেমন ধরেন বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে, প্যাকেজিং এর ক্ষেত্রে, ব্রান্ডিং, মোবাইল অ্যাপ, ওয়েবসাইট ইত্যাদি।
এবং এই গ্রাফিক্স ডিজাইন কিন্তু প্রাচীন যুগ থেকেই প্রচলিত বলা যায়, আর তখনকার মানুষ হাতে গুহাচিত্র ছবি আঁকতো। এবং পর্যায়ক্রমে আস্তে আস্তে সভ্যতার সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমান যুগে ও গ্রাফিক্স ডিজাইনের অনেক জনপ্রিয়তা হয়েছে।

বর্তমানে এসে কম্পিউটার এবং সফটওয়্যার এর মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইনেররা বিভিন্ন টুল ব্যবহার করে, বিজ্ঞাপন, ব্রান্ডিং, প্যাকেজিং, ওয়েব ডিজাইন উপায়ে করে, তা মানুষের সামনে সহজ করে উপস্থাপন করেছে। এবং এখন নিম্নে জানাবো গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ গুলো কি হতে পারে সে গুলো সম্পর্কে-

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি

আপনাদেরক এখন গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ কোন গুলো রয়েছে, সেগুলো সম্পর্কে এই অংশে বিস্তারিত ভাবে জানানো। গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ বিভিন্ন রকমের রয়েছে, কাজের ধরন অনুযায়ী ডিজাইনের কাজ ভাগ করা হয়ে থাকে। এবং এই বিভিন্ন রকমের কাজ গুলো কি? কিভাবে করতে হয় চলুন তা নিম্নে যেনে নেওয়া যাক-

লোগো ডিজাইনঃ-- লোগো ডিজাইন হচ্ছে, একটি ব্র্যান্ডের প্রতীক বা এক ধরনের চিহ্ন, যা একটি কোম্পানির পরিচয় প্রকাশ করে থাকে। এবং এটি গ্রাফিক ডিজাইনের মধ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ, এবং লোগো ডিজাইন টা হচ্ছে, একটি ব্র্যান্ডকে অন্য যেসব ব্র্যান্ডগুলো রয়েছে, তার থেকে আলাদা পরিচয় প্রকাশ করে থাকে।
লোগো ডিজাইন হচ্ছে একটি কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু কে আকর্ষণীয় করে তোলে। আপনার কোম্পানির লোগোকে এমনভাবে সবার সামনে উপস্থাপন করতে হবে, যেন আপনার ব্র্যান্ডের মাধ্যমে গ্রাহকরা আকর্ষিত হয়। এবং শুধু লোগো ডিজাইন করলেই হবে না, তার রং, ফন্ট বিভিন্ন সংমিশ্রণে একটি ব্র্যান্ড তৈরি করতে হয়।
যাতে করে গ্রাহকরা সেই ব্র্যান্ডের প্রতি আকর্ষিত হয়ে, সে কোম্পানির সেবা পেতে ইচ্ছুক হয়ে থাকে। এবং এমনভাবে ব্র্যান্ড তৈরি করতে হবে, যেন ওই ব্র্যান্ডের মাধ্যমে সব গ্রাহকরা যেন সেই কোম্পানির বার্তা পায়। তাই গ্রাফিক ডিজাইন এর মধ্য এটি একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

ব্রান্ডিং এবং আইডেন্টিটি ডিজাইনঃ-- ব্রান্ডিং এবং আইডেন্টিটি এমন এক ধরণের ডিজাইন যা একটি ব্রান্ডের যাবতীয় চেহারা এবং অনুভূতি প্রকাশ করে থাকে। এবং শুধু এটি লোগো ডিজাইনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনা, এটি আপনার বিজনেস কার্ড, লেটারহেড, প্যাকেজিং, সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রাফিক্স ডিজাইন, এনভেলপ এবং অন্যান্য উপাদান ও এর সাথে যুক্ত রয়েছে।

তাই আপনার ব্রান্ডের যাবতীয় চেহারা এবং অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য আপনি ব্রান্ডিং করতে পারেন। আর এমন ভাবে ব্রান্ডিং করবেন যাতে করে আপনার ব্রান্ডের মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে সংযোগ স্থাপন হয়।

প্রিন্ট ডিজাইনঃ-- প্রিন্ট ডিজাইনের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রিন্টের কাজ করতে পারবেন। আপনার যদি পোস্টার ডিজাইনের দরকার হয় তাহলে এটিতে আপনি প্রিন্টিং করতে পারবেন। তাছাড়াও আপনার বিজনেস কার্ড, ম্যাগাজিন, ব্রাউচার, নিউজপেপার ইত্যাদিতে আপনি প্রিন্টিং মেটারিয়াল ডিজাইন করতে পারবেন এর মাধ্যমে।

এবং এগুলো করার জন্য ডিজাইনরা তারা বিভিন্ন ধরণের টুল ব্যবহার করে থাকে। আর সে সব টুল ব্যবহার করে পোস্টার কার্ড, ম্যগাজিন, ব্রাউচার, বুক কভার ইত্যাদি প্রিন্ট ডিজাইন করতে পারবেন।

ওয়েবসাইট এবং ইউআই অথবা ইউএক্স ডিজাইনঃ-- ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং UI এটি হচ্ছে ইউজার ইন্টারফেস, UX এটি হচ্ছে ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ডিজাইন, যা আধুনিক যুগে গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েবসাইট ডিজাইনের মাধ্যমে আপনি একটি ওয়েব পেজের চেহারা এবং ফ্যাংশনালিটি করতে পারবেন।

ইউআই এবং ইউএক্স হচ্ছে, আপনি যদি আপনার ডিজাইন ব্যবহারির কাছে আকর্ষনীয় এবং সহজ করতে চান তাহলে ইউআই ও ইউএক্স এর মাধ্যমে করতে পারেন। এইটার মাধ্যমে ডিজাইনরা খুব সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরী করে যা ব্যবহারকারীর কাছে সহজ মনে হয়।

বিজ্ঞাপন ডিজাইনঃ-- বিজ্ঞাপন বলতে একটি পণ্যের সেবা প্রচার করাকে বুঝায়। পণ্যেকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সবার সামনে এমন ভাবে উপস্থাপন করা হয়ে থাকে, যেনো ক্রেতারা আকর্ষশীত হয়। এবং বিজ্ঞাপন ডিজাইনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, গ্রহকদের মনযোগ এবং দৃষ্টি আকর্ষণ করা।

এবং আপনি বিজ্ঞাপন ডিজাইন বিভিন্ন করতে পারেন, আপনি চাইলে পোস্টার, ওয়েবসাইড, বিলর্বোড, সোশ্যাল মিডিয়া, পত্রিকা, ম্যাগাজিন ইত্যাদির মাধ্যমে আপনি সুন্দর ডিজাইন করে বিজ্ঞাপন তৈরী করতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট ডিজাইনঃ-- সোশ্যাল মিডিয়ায় কন্টেন্ট ডিজাইন একটি জনপ্রিয় এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আপনার পোস্টের কাস্টমাইজড, ব্যানার, ভিডিও কন্টেন্ট ইত্যাদির একটি সুন্দর গ্রাফিক্স ডিজাইন তৈরী করা হয়ে থাকে। কারণ আপনার ব্রান্ডের যদি ভ্যালু ধরে রাখতে চান সোশ্যাল মিডিয়ায়, তাহলে আপনার অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট ডিজাইন সুন্দর করার মাধ্যমে তা ধরে রাখতে হবে।

এবং এমন ভাবে ডিজাইন করবেন জেনো গ্রাহকরা আপনার ডিজাইনের প্রতি আকর্ষশীত হয়। আর আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্রান্ডের পরিচয় তুলে ধরতে অবশ্যই আপনার ডিজাইন অন্যদের চেয়ে ভালো এবং কৌশলগত ও সৃজনশীল হতে হবে।

প্যাকেজিং ডিজাইনঃ-- আপনার পণ্যের আকর্ষণ বাড়াতে প্যাকেজিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি প্যাকেজিং ডিজাইন সুন্দর করতে পারেন, তাহলে আপনার পণ্যের প্রতি অবশ্যই গ্রাহকরা আকর্ষশীত হবে। তাই আপনার পণ্যর প্রতি গ্রাহকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে, প্যাকেজিং ডিজাইন খুব গুরুত্বপূর্ণ।

ফটো এডিটিং এবং ম্যানিপুলেশনঃ-- গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যে ফটো এডিটিং এবং ম্যানিপুলেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এবং ডিজাইন প্রক্রিয়ায় এটি সব ক্ষেত্রে প্রায় ব্যবহার হয়ে থাকে। এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনরা বিভিন্ন সফটওয়্যার যেমন ফটোশপ, লাইটরুম ইত্যাদির ব্যবহার করে ফটো এডিটিং করে থাকে।

টাইপোগ্রাফি ডিজাইনঃ-- এই ডিজাইনের মাধ্যমে শুধু আপনি একটি নির্দিষ্ট বার্তা বা অনুভূতি প্রকাশ করতে পারবেন। এবং এই ডিজাইনের মাধ্যমে আপনি ফন্ট, রঙ, আকার এবং স্পেসিং কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

আর্ট ডিরেকশনঃ-- গ্রাফিক্স ডিজাইনের সামগ্রিক সৃজনশীল দিক নির্দেশনা প্রদান করার জন্য কিন্তু আর্ট ডিরেকশন করে থাকে। এবং যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনরা রয়েছে তারা একটি প্রজেক্টের ভিজ্যুয়াল স্টাইল এবং যে ব্রান্ড রয়েছে তার নির্দেশনা মেনে চলে থাকে।

কর্পোরেটর ডিজাইনঃ-- এটির মাধ্যমে আপনার কোম্পানির লোগো, ব্রান্ড কালার, টাইপোগ্রাফি ইত্যাদি তৈরী করা হয়ে থাকে। যা আপনার কোম্পানির ব্রান্ডের যে একটা ভ্যালু রয়েছে তা প্রকাশ করে থাকে। এবং এর মাধ্যমে আপনার কোম্পানির মিশন, ভিশন এবং মান সবার সামনে তুলে ধরা হয়ে থাকে।

পরিবেশগত ডিজাইনঃ-- পরিবেশগত ডিজাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানের যে পরিবেশ রয়েছে তা সুন্দর করে সবার সামনে উপস্থাপন করতে এই ডিজাইন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আপনার অফিসের ভিতরের পরিবেশ বা বিভিন্ন সাজসজ্জা ইত্যাদি ডিজাইন করা হয়ে থাকে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কত দিন লাগে

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কত দিন লাগে? এই প্রশ্ন আপনারা অনেকেই করে থাকেন। সাধারণত গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স শিখতে আপনার ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় লাগতে পারে। কিন্তু তাছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইনের কোর্স কত দিনে শেষ হবে তা নির্ভর করবে আপনার উপর।


আপনি যদি কোর্স করার সময় নিয়মিত প্র্যাকটিস করেন, এবং প্রজেক্ট তৈরি করেন, তাহলে আপনি দ্রুত করতে কমপ্লিট করতে পারবেন। তা ছাড়াও আপনার আগ্রহ, সময়, পরিশ্রম ইত্যাদির ওপর গ্রাফিক্স ডিজাইন শেষ নির্ভর করবে।

আপনি যদি ধৈর্য সহকারে অনেক পরিশ্রম করতে পারেন, লেগে থাকতে পারেন, তাহলে আপনি খুব সহজে কোর্সটি শেষ করতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি কি কাজ করে

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি কি কাজ করে থাকে তার সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। আসলে গ্রাফিক্স ডিজাইন হয়েছে, কোন একটি তথ্যকে সৃজনশীলতা দিয়ে, সে তথ্য কে তার রং রেখা ও বিভিন্ন রূপ পরিবর্তন বা নতুনত্ব সৃষ্টি করে সবার সামনে উপস্থাপন করা হয়ে থাকে। এবং এসব তথ্য বেশিরভাগ মার্কেটিং সম্পর্কিত হয়ে থাকে।

মার্কেটিং ছাড়াও বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইনের আওতায়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার

গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি ? সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। আসলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রকারভেদ হচ্ছে অনেক, গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে, তার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রকারভেদ নিম্নে বলা হলো-
  • প্যাকেজিং গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • প্রকাশনার গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন
  • পরিবেশগত ডিজাইন
  • বিজ্ঞাপন ডিজাইন
  • সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট ডিজাইন
  • ব্র্যান্ডিং এবং আইডেন্টিটি ডিজাইন
এরকম বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইন রয়েছে, তাছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইনের উল্লেখযোগ্য এবং প্রধান দুইটি ডিজাইন হচ্ছে-
  • ওয়েব মিডিয়া
  • প্রিন্ট মিডিয়া

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কত টাকা লাগে

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কত টাকা লাগে? সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী হয়ে থাকে। কারণ গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে আধুনিক যুগে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যার মাধ্যমে আপনি নিজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবেন। তাই অনেকেই রয়েছে যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে আগ্রহী হয়ে থাকে।
কিন্তু গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কত টাকা লাগতে পারে তার সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই। তাই আপনাদের এই অংশে একটি নির্দিষ্ট ধারণ দেওয়ার চেষ্টা করব। মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইনের কোর্স করতে ৯০০০ টাকার মতো লাগতে পারে। এবং এই কোর্সটি শেষ করতে আপনার ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় লাগতে পারে। এবং কোর্স্টি করতে আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটার প্রয়োজন হবে।

গ্রাফিক ডিজাইন এর চাহিদা কেমন

গ্রাফিক ডিজাইন এর চাহিদা কেমন? এরকম প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। যারা এরকম প্রশ্ন করে থাকেন তারা আসলে গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রতি আগ্রহ তাই। কারণ অনেকে রয়েছে যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চাই, কিন্তু গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা কেমন, এর ডিমান্ড কেমন সে সম্পর্কে অনেকে ধারণা নাই। আর তাই এ সম্পর্কে জানার জন্য আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন।


আপনাদেরকে এই অংশে খুব সহজভাবে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর বিভিন্ন রকমের কাজ রয়েছে, যেমন প্রোডাক্ট ইমেজ, ব্যানার, এবং মার্কেটিং ম্যাটেরিয়াল ইত্যাদি রয়েছে। এক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদা অনেক রয়েছে। এবং ব্র্যান্ডিং ও ভিজ্যুয়াল আইডেন্টিটির জন্য কিন্তু গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর নির্ভর করতে হয়।

তাই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদা অনেক রয়েছে। আপনি চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর কোর্স কমপ্লিট করতে পারেন। কিন্তু ধৈর্য সহকারে অনেক পরিশ্রম করতে হবে, লেগে থাকতে হবে এবং সময় দিতে হবে, তাহলে আপনি সফল একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারবেন।

শেষ কথাঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি সে সম্পর্কে আপনারা ইতিমধ্য বিস্তারিতভাবে জেনে গিয়েছেন। তাই আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চান, তাহলে অবশ্যই উপরের নিয়মাবলী অনুযায়ী আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে আপনাকে অবশ্যই অনেক পরিশ্রম করতে হবে এবং ধৈর্য ধরে রেগে থাকতে হবে। আপনি যদি সময় দিয়ে ধৈর্য ধরে লেগে থাকতে পারেন এবং অনেক পরিশ্রম করতে পারেন।

তাহলে আপনি একজন সফল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারবেন। এবং আপনার দুই থেকে পাঁচ বছর বা এক বছর ধৈর্য সহকারে লেগে থাকতে হবে। যারা সফল গ্রাফিক্স ডিজাইনরা রয়েছে, তাদের কথা অনুযায়ী আপনাকে ২ থেকে ৫ বছর পরিশ্রম করতে হবে। তাহলে আপনি একজন সফল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হবে। এবং এরকম বেশি বেশি তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন, কারণ এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন রকমের তথ্য প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ট্রিক্সপ্রমোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url