ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম ফজিলত, অর্থ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদার দোয়া, তাসবিহ, নিয়মআল্লাহর ইসমে আজম নাম গুলোর মধ্যে একটি হলো ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম। ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম এর ফজিলত অনেক। আজকে আপনাদের এর ফজিলত, ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম ১০০ বার পড়লে কি হয়, কেন পড়বেন, এটি পড়লে কি কি উপকার পাবেন সে সম্পর্কে প্রত্যেকটি বিষয়ে জানিয়ে দেব।

ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম ফজিলত - ১০০ বার পড়লে কি হয়

ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম এটি আল্লাহর ইসমে আজম এর নাম। এই নামের মধ্যে থাকা জালাল শব্দের অর্থ মর্যাদাবান এবং ইকরাম শব্দের অর্থ সম্মানিত। সুতরাং এ কথাটির অর্থ দাঁড়ায় আল্লাহ মর্যাদাবান ও সম্মানিত। আল্লাহর এই ইসমে আজম এর নামটি কোরআনে ২ বার উল্লেখ রয়েছে। ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম এর ফজিলত, ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম ১০০ বার পড়লে কি হয়, ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম সম্পর্কে প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম ফজিলত - ১০০ বার পড়লে কি হয়

ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম ফজিলত

ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম আল্লাহর ইসমে আজমের নাম। এটি ইসমে আজম বা বড় নাম গুলোর মধ্যে একটি। ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম এর বেশ কয়েকটি ফজিলত রয়েছে। এটি নিয়মিত যে ব্যাক্তি পাঠ করবে তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করলে দ্রুত সে দোয়া কবুল হবে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) প্রিয় দোয়া গুলোর মধ্যে একটি ছিল ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম। 

ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম এর অর্থ হে মহিমান্বিত ও সম্মানের অধিকারী। এটি আল্লাহর অন্যতম বড় নাম। এটি পাঠ করে দোয়া করলে আল্লাহ সেই ব্যক্তির দোয়া কবুল করেন। যদি কেউ আল্লাহর প্রশংসা ও মহিমা ঘোষণা করে তখন আল্লাহ সেই ব্যক্তির দ্রুত দোয়া কবুল করেন। এটির মাধ্যমে জিকির করে আল্লাহর কাছে দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়।
ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম নিয়মিত ১০০ বার পাঠ করলে রিজিকে বরকত হয়। আপনি নিয়মিত এটি পাঠ করলে আপনার জীবনের দুঃখ কষ্ট দুর্দশা হতাশা দুশ্চিন্তা দূর হবে। যে ব্যক্তি এই দোয়া নিয়মিত পাঠ করবেন তার জন্য জান্নাতে প্রবেশ সহজ হবে। আমাদের প্রিয় নবী (সা) এই দোয়া বেশি বেশি পাঠ করতেন। ৩৩ বার, অথবা ৭১ বার এই দোয়া পাঠ করলে বিপদ থেকে মুক্তি পাবেন। 

ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম হলো এমন একটি শক্তিশালী দোয়া ও জিকির যা আল্লাহর রহমত, রিযিক বৃদ্ধি, বিপদমুক্তি, দোয়া কবুলের একটি সহজ মাধ্যম। আশা করি ইয়াজালালি ওয়াল ইকরাম এর ফজিলত সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম ১০০ বার পড়লে কি হয়

ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম ১০০ বার পড়লে কি হয়? ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম ১০০ বার পড়লে দোয়া দ্রুত কবুল হয়। ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম পাঠ করে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তিনি তা কবুল করেন। (তিরমিজি ৩৫৬৬) এই দোয়া পাঠ করলে আরো বেশ কিছু উপকার হয়। ১০০ বার পাঠ করার পর আপনি দোয়া করলে আল্লাহ আপনার বৈধ চাওয়া গুলোকে পূরণ করবেন। 

নিয়মিত এটি একশোবার পাঠ করলে রিজিক বৃদ্ধি হয় ও রিজিকে বরকত হয়। ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম নিয়মিত পাঠ করলে বিপদ, রোগ মুক্তি, সংকট, বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে আল্লাহ সেই ব্যক্তিকে দূরে রাখেন। আল্লাহর রহমতে লাভ ও শারীরিক ও মানসিক শান্তি লাভের জন্য আপনি নিয়মিত ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম ১০০ বার করে পাঠ করুন। 

মানসিক প্রশান্তির জন্য এই দোয়াটি অত্যন্ত উপকারী। জান্নাতে প্রবেশের জন্য এই দোয়াটি আপনাকে সহজ করে দেবে। আশা করি ইয়াজালালি ওয়াল ইকরাম ১০০ বার পাঠ করলে কি হয় সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম ১১ বার পড়লে কি হয়

ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম ১১ বার পড়লে কি হয় তা অনেকে জানেন না। ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম আল্লাহর ইসমে আজম এর নাম। ইসমে আজম এর অর্থ আল্লাহর বড় নাম গুলোর মধ্যে একটি। ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম ১১ বার পড়লে আল্লাহ ঐ ব্যক্তির সম্মান বৃদ্ধি করেন। নিয়মিত এই দোয়া ১১ বার পড়লে রিজিক বৃদ্ধি হয়। 

অভাবগ্রস্থ ব্যক্তিরা নিয়মিত এই দোয়া পড়লে আল্লাহ তার অভাব দূর করবেন এবং তার কর্ম ক্ষেত্রে সফলতা দান করবেন। কোন বিপদ আপদ ও সমস্যা দূর করার জন্য আপনি নিয়মিত এই দোয়াটি ১১ বার পাঠ করতে পারেন। এতে আল্লাহ তা'আলা আপনার বিপদ আপদ ও সমস্যা দূর করবেন। আপনি যদি অতিরিক্ত চিন্তিত থাকেন আপনার চিন্তা দূর করতে মানসিক প্রশান্তির জন্য নিয়মিত ইকরাম ১১ বার পড়ুন। 
ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম ফজিলত - ১০০ বার পড়লে কি হয়
আপনি নিয়মিত ১১ বার এই দোয়া পাঠ করে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে আপনার গুনাহ মাফের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। আল্লাহর রহমত লাভের জন্য ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম এর আমল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোগ থেকে মুক্তির জন্য এই দোয়া নিয়মিত ১১ বার পাঠ করলে রোগ থেকে আরোগ্য লাভের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম ১১ বার পাঠ করুন।

ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম অর্থ

অনেকে নিয়মিত ইয়াজালালি ওয়াল ইকরাম পাঠ করেন কিন্তু এর অর্থ জানেন না। ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম এর অর্থ সমস্ত সৃষ্টি জগতের মালিক, যিনি মহিমান্বিত ও সম্মানের অধিকারী। ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম এটি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার অন্যতম গুণবাচক নাম। এই দোয়া পাঠ করে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। 

ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম আল্লাহর প্রশংসা সূচক তাসবিহ ও জিকির। নিয়মিত এই দোয়া পাঠ করলে বিপদ আপদ থেকে মুক্তি ও রিজিক বৃদ্ধি হয়। পাশাপাশি নিয়মিত এই দোয়া পাঠ করে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে আল্লাহ ঐ ব্যক্তির সৎ উদ্দেশ্যকে কবুল করেন।

ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম কিসের দোয়া

অনেকেই ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম এর ফজিলত, ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম কিসের দোয়া সে সম্পর্কে জানতে চান। ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম আল্লাহর প্রশংসা সূচক দোয়া। এ দোয়া করলে আল্লাহ ওই ব্যক্তির বিভিন্ন বিপদ আপদ দূর করেন। এই দোয়া পাঠ করলে মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির সৎ উদ্দেশ্যকে সফল করেন। 

নিয়মিত এই দোয়া পাঠ করলে আল্লাহ ঐ ব্যক্তির রোগবালাই দূর করেন। নিয়মিত ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম পাঠ করলে আল্লাহ ওই ব্যক্তির সম্মান বৃদ্ধি করেন। ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম রিজিক বৃদ্ধি, সম্মান বৃদ্ধি, দোয়া কবুল, বিপদ ও কষ্ট দূর করার, মানসিক শান্তির, সহজে জান্নাত লাভের দোয়া।

ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম সঠিক উচ্চারণ

ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম এর সঠিক উচ্চারণ সম্পর্কে অনেকে খোঁজ করেন। ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম এর সঠিক উচ্চারণঃ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ বাংলা উচ্চারণঃ "ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম" এই দোয়াটি পড়ার সময় স্পষ্ট উচ্চারণ ও একাগ্রতা সাথে পড়া উত্তম।

ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম অর্থ

ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম এর অর্থ হলোঃ "হে চিরঞ্জীব সৃষ্টি জগতের ধারক ও বাহক সম্মান, মহানত্ব, গৌরব ও শক্তির অধিকারী" এটি বিপদ ও মুসিবত দূর করার জন্য অত্যন্ত শক্তিশালী একটি দোয়া। আমাদের প্রিয় নবী করিম (সা) কঠিন বিপদের সময় এ দোয়া পাঠ করতেন। এই দোয়া পাঠ করলে দুশ্চিন্তা মানসিক অশান্তি দূর হয়। 

এ দোয়া ফজরের নামাজের পর ৪০ বার পাঠ করলে মহান আল্লাহ রিজিকে বরকত দান করেন। ব্যবসা ও জীবিকার উন্নতির জন্য এই দোয়াটি অত্যন্ত কার্যকরী ও উপকারী দোয়া। হযরত মুহাম্মদ (সা) বলেছেন " যখন দোয়া করবে তখন ইয়া হাইয়্যই ইয়া কাইয়ুম দ্বারা আল্লাহকে ডাকো তিনি তা কবুল করবেন" (তিরমিজি ৩৫৪৪) যারা দুশ্চিন্তা ও হতাশায় ভুগছেন তারা এই দোয়া পড়লে আল্লাহ সে ব্যক্তির অন্তরে প্রশান্তি দান করবেন।

ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম

ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম এই দোয়া পাঠ করলে আল্লাহ বেশ কিছু সমস্যা দূর করেন। নিয়মিত এই দোয়া পাঠ করলে বৃদ্ধি হয়। পাশাপাশি যে ব্যক্তি এই দোয়া পাঠ করবেন মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির সম্মান বৃদ্ধি করবেন। নামাজের পর এই দোয়া পাঠ করে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে দোয়া কবুলের সম্ভাবনা অনেক বেশি। 

ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম ফজরের নামাজের পর ৪০ বার পাঠ করলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। বিপদের সময় ও দুশ্চিন্তার সময় বারবার এই দোয়া পাঠ করুন। আল্লাহর রহমত পেতে রাতে তাহাজ্জুদ নামাজের পর ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম পাঠ করুন।

লেখক এর মন্তব্য

আমি তারেক ট্রিক্সসপ্রমো ওয়েবসাইটের এডমিন। আমি চাই আপনাদের সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে। আমার লিখা আর্টিকেলগুলো যদি আপনাদের পছন্দ হয় তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আজকের আর্টিকেলটিতে ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম এর প্রত্যেকটি ফজিলত, পড়ার নিয়ম, পড়লে কি হয় সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য শেয়ার করেছি। 

আশা করি বিষয়গুলো জেনে উপকৃত হবেন। এ সম্পর্কিত অন্যান্য আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ইসলামিক ক্যাটাগরি ঘুরে আসুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ট্রিক্সপ্রমোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url