তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদার দোয়া, তাসবিহ, নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
দোয়া কুনুত মুখস্ত করার সহজ ৫টি পদ্ধতি, এর ফজিলতফরজ নামাজের পরেই গুরুত্বপূর্ণ নামাজ গুলোর মধ্যে একটি নামাজ হলো তাহাজ্জুদের
নামাজ। অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ এই নামাজ। তাহাজ্জুদের নামাজ পড়লে বান্দার সাথে
আল্লাহর একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। আজকে তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদার দোয়া,
তাহাজ্জুদ নামাজের তাসবিহ সম্পর্কে আপনাদের জানিয়ে দেব।
আল্লাহর সাথে বান্দার একটি সম্পর্ক তৈরীর মাধ্যম হলো তাহাজ্জুদের নামাজ।
তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে বান্দা আল্লাহর কাছে মনের সকল কথা খুলে বলতে পারেন।
তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে বান্দা আল্লাহর কাছে দোয়া করলে আল্লাহ সেই বান্দার দোয়া
কবুল করেন। আজকের আর্টিকেলটিতে তাহাজ্জুদ নামাজের প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে সঠিক
তথ্য শেয়ার করেছি। তাই তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে প্রত্যেকটি বিষয়ে জানতে হলে
পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদার দোয়া - তাহাজ্জুদ নামাজের তাসবিহ
তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদার দোয়া
অনেকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে চান, কিন্তু তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম অথবা
তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদার দোয়া সম্পর্কে জানেন না। তাহাজ্জুদ নামাজের ব্যতিক্রমী
বা ভিন্ন কিছু নিয়ম নেই। আপনি তাহাজ্জুদ নামাজ অন্য সব নামাজের মতই আদায় করতে
পারেন। নামাজ আদায় শেষে বিভিন্ন জিকির করার পর আল্লাহর কাছে দুহাত তুলে দোয়া
করতে পারেন।
তবে আপনি যদি চান সিজদায় দোয়া করবেন তাতেও পারবেন। অনেকে মনে করেন সিজদায়
গিয়ে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা, পাঠ করার পর বাংলায় দোয়া করা যায়। আসলে এটি
ভুল, সুবহানা রাব্বিয়াল আলা ৩,৫,৭ বার পাঠ করার পর বাংলায় কোন দোয়া করা যাবে
না। কেননা বাংলায় দোয়া করলে দুনিয়াবি কথাবার্তা নামাজে চলে আসবে আর এই
কথাবার্তা গুলো আসলে আপনার নামাজ হবে না।
তাই আপনি চাইলে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা পাঠ করার পর আরবিতে দোয়া করতে পারেন। কি
দোয়া করবেন আরবিতে, আপনি যেকোনো দোয়া করতে পারেন আরবিতে, আপনি আল্লাহর কাছে
ক্ষমা চাইছেন, ক্ষমা চাওয়া সম্পর্কে যেকোনো দোয়া আরবিতে করতে পারেন। নিচে
তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদার দোয়া দেওয়া হলোঃ
"আউজু বি রিজকা মিন সাখাতিকা, ওয়া বি মু আফাতিকা মিন উকুবাতিকা, লা-উহসি ছানা
আান আলাইকা আমতা কামা আছনাইতা আালা নাফসিকা" ( আরবি দেখে শুদ্ধ ভাষায় পড়ুন
বাংলাতে উচ্চারণ শুদ্ধ হয় না)
আরো পড়ুনঃ আতরের নাম ও দাম
আপনি তাহাজ্জুদের নামাজের সিজদায় উপরে দেওয়া এ দোয়া পড়তে পারেন। এছাড়া
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে আরো কিছু দোয়া পাঠ করতে পারেন যেমনঃ
"রব্বানা আতিনা ফিদ্দুন-ইয়া হাসানা’তাও ওয়াফিল আখিরতি হাসানা’তাও ওয়াকিনা
আজাবান্নার"।
এই দোয়াগুলো পড়ে আপনি তাহাজ্জুদের নামাজ শেষ করুন। এছাড়া আরো অন্যান্য দোয়া
রয়েছে আপনি চাইলে সেই দোয়াগুলো পড়তে পারেন। তবে উপরে দেওয়া এই দোয়া অথবা
অন্য কোন দোয়াও যদি আপনি না জানেন তাহলে সাধারণ নামাজের মত নামাজ পড়তে পারেন।
তবুও আপনার নামাজ হয়ে যাবে। আশা করি তাহাজ্জুদ নামাজের সিজিদার দোয়া সম্পর্কে
জানতে পেরেছেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের তাসবিহ
অনেকে তাহাজ্জুদ নামাজের তাসবিহ সম্পর্কে খোঁজ করেন। অন্যান্য নামাজের মতই
তাহাজ্জুদ নামাজের তাসবিহ একই। এতে কোন আলাদা নিয়ম নেই। আপনি অন্যান্য সব
নামাজের মতই নিয়ত করে রুকুতে গিয়ে সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম পাঠ করুন, এরপর
সিজদায় গিয়ে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা পাঠ করুন। এত বেশি সম্ভব হয় পাঠ করুন এবং
নামাজকে দীর্ঘ করুন।
তবে সাধারণ অন্য নামাজের মত পাঠ করতে পারেন। নামাজ শেষে আল্লাহর প্রশংসা করার
জন্য বিভিন্ন তাজবিহ, জিকির করতে পারেন। তাহাজ্জুদ নামাজে অথবা নামাজের পর বেশি
বেশি তাসবিহ করা উত্তম। নামাজে অথবা নামাজ শেষে এই তাসবিহ গুলো করতে পারেনঃ
সুবহানাল্লাহ (পবিত্র আল্লাহ)
আলহামদুলিল্লাহ (সকল প্রশংসা আল্লাহর)
আল্লাহু আকবার (আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ)
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই)
এছাড়াও আরো বেশ কিছু তাজবিহ রয়েছে আপনি সেগুলো করতে পারেন। এই তাসবিহ গুলো করার
পর আপনি আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে আপনার মনের চাওয়া-পাওয়া সকল আশা তুলে ধরতে
পারেন। আশা করি তাহাজ্জুদ নামাজের তাসবিহ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
আমরা অনেকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ি কিন্তু তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদার দোয়া,
তাহাজ্জুদ নামাজের তাসবিহ সম্পর্কে তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকেরই
সঠিক ধারণা নেই। তাই অনেকে তাহাজ্জুদ নামাজের সিজিদার দোয়া, তাহাজ্জুদ নামাজের
নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান। ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে ফজিলত পূর্ণ নামাজ হলো
তাহাজ্জুদের নামাজ। কোরআনে তাহাজ্জুদ নামাজের কথা ভিন্নভাবে উল্লেখ করা
আছে।
মহান আল্লাহ আমাদের প্রিয় নবীকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের পর রাতের শেষের অংশে
তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে
একজন বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে কাছে পৌঁছাতে পারেন। তাহাজ্জুদ নামাজের পর আল্লাহর
কাছে চাইলে তিনি আশা গুলোকে পূরণ করেন।
আরো পড়ুনঃ ডার্ক চকলেট কোনটা ভালো
অনেকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়বেন বলে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান।
এশার নামাজের পর ও ফজরের নামাজের পূর্বে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে হয়। অনেকেই
এশার নামাজের পর তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েন। আবার অনেকে রাতের শেষ অংশে ফজরের
নামাজের পূর্বে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েন। তাহলে কোনটি সঠিক। দুই ভাবে নামাজ
পড়লেই তাহাজ্জুদের নামাজ হবে।
তবে উত্তম হলো রাতের শেষ অংশে ফজরের নামাজের পূর্বে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া। এশার
নামাজের পর তাহাজ্জুদের ২,৪,৬,৮, রাকাত নামাজ আদায় করলে এটি তাহাজ্জুদের নামাজ
আদায় হবে। তবে এই নামাজটি কিআমুল লাইল এর অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে সবচেয়ে উত্তম
হলো ঘুম থেকে উঠে রাতের এক-তৃতীয়াংশে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা।
তাহাজ্জুদের নামাজের আলাদা কোন নিয়ম নেই। আপনি অন্যান্য যে নামাজ গুলো পড়েন
সেভাবেই নামাজ পড়তে পারেন। অনেকে ভাবেন কোন নিয়তে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়বো। এটি
সুন্নত কি নফল। আপনি যে নিয়তে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করবেন সে নিয়তে নামাজ
হবে৷ কিন্তু তাহাজ্জুদের নামাজ সুন্নত নিয়মে পড়া উত্তম।
কেননা আমাদের প্রিয় নবী (সা) তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন, আমরা তার অনুসারী হয়ে
তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করি। তাই তাহাজ্জুদের নামাজ সুন্নত নিয়তে পড়া উত্তম।
তাহাজ্জুদের নামাজ অন্যান্য নামাজের মতোই একই নিয়মে পড়তে পারেন। তবে
তাহাজ্জুদের নামাজ দীর্ঘ সময় ধরে পড়তে হয়। আপনি যত বেশি সময় ধরে পড়তে পারবেন
এটি আপনার জন্য তত বেশি উত্তম।
সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর একাধিক সূরা, অথবা দীর্ঘ আয়ত তিলাওয়াত করতে পারেন।
তাহাজ্জুদের নামাজ আমাদের প্রিয় নবী (সা) ২,৪,৬,৮ রাকাত আদায় করতেন। তাই আপনি
বেশি আদায় না করে ২ রাকাত, ২ রাকাত করে মোট ৮ রাকাত, অথবা শুধু দুই রাকাতও আদায়
করতে পারেন। তবে শর্ত হল দুই রাকাত দুই রাকাত করে আদায় করতে হবে।
৮ রাকাতের বেশি নামাজ না পড়া সবচেয়ে উত্তম। নামাজ কম পড়ুন কিন্তু নামাজের সময়
দীর্ঘ করুন। এরপর তাসবিহ করে, জিকির করে আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে দোয়া করুন।
আশা করি তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া সমূহ
অনেকে তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদার দোয়া, তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া সমূহ সম্পর্কে
খোঁজ করেন। তাহাজ্জুদ নামাজের বেশ কিছু দোয়া রয়েছে। তবে আপনি যদি দোয়া না
জানেন সে ক্ষেত্রে সাধারণভাবে নামাজ পড়লেও নামাজ হবে, তবে যদি দোয়া পড়েন সে
ক্ষেত্রে সেটি উত্তম। আমাদের প্রিয় নবী তাহাজ্জুদ নামাজে দোয়া পড়তেন।
তাই আমরাও তাহাজ্জুদ নামাজে দোয়া পড়বো। যদি না পড়েন সে ক্ষেত্রেও নামাজ হবে।
তবে দোয়া পড়া উত্তম। আমাদের প্রিয় নবী তাহাজ্জুদ নামাজে যে দোয়া পড়তেন নিচে
সে দোয়াটি দেওয়া হলোঃ
আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু আংতা কায়্যিমুস সামা-ওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়ামান ফিহিন্না
ওয়া লাকাল হামদু। লাকা মুলকুস সামা-ওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়া মান ফিহিন্না। ওয়া লাকাল
হামদু আংতা নুরুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ। ওয়ালাকাল হামদু আংতাল হাক্কু। ওয়া
ওয়া,দুকাল হাক্কু। ওয়া লিক্বাউ’কা হাক্কু। ওয়াল ঝান্নাতু হাক্কু। ওয়ান নারু হাক্কু। ওয়ান নাবিয়্যুনা
হাক্কু। ওয়া মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা হাক্কু, ওয়াস সাআতু
হাক্কু। আল্লাহুম্মা লাকা আসলামতু ওয়াবিকা আমাংতু ওয়া আলাইকা তাও-য়াক্কালতু। ওয়া
ইলাইকা আনাবতু, ওয়া বিকা খাসামতু। ওয়া ইলাইকা হাকামতু। ফাগ ফিরলি মা কাদ্দাম-তু ওয়া মা আখ্খারতু। ওয়া মা আসরারতু
ওয়া মা আ’লাংতু। আংতাল মুকাদ্দিমু ওয়া আংতাল মুআখ্খিরু। লা ইলাহা ইল্লা আংতা। লা
ইলাহা গাইরুকা। (বুখারি) (বাংলাতে উচ্চারণ সঠিক হয় না তাই আপনি আরবি দেখে সঠিক ও
শুদ্ধভাবে মুখস্ত করুন)
আপনি উপরে দেওয়া এই দোয়া তাহাজ্জুদ নামাজে পড়তে পারেন। তবে বিভিন্ন স্কলাররা
ভিন্ন ভিন্ন দোয়ার কথা বলেছেন। আরো বেশ কিছু দোয়া রয়েছে যেগুলো তাহাজ্জুদ
নামাজে পড়া যায়।
তাহাজ্জুদ নামাজের পর আমল
তাহাজ্জুদ নামাজের পর আপনি বেশ কিছু আমল করতে পারেন। তাহাজ্জুদ নামাজের পর আপনি
আল্লাহর কাছে বেশ কিছু আমল করতে পারেন। আমল শেষে আপনি দোয়া করতে পারেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের পর বেশি বেশি আল্লাহর প্রশংসা ও শোকর আদায় করুন। তাহাজ্জুদ
নামাজের পর আলহামদুলিল্লাহ, সুবাহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবাহানাল্লাহিল আজিম।
আরো পড়ুনঃ কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
পাঠ করুন। (যত বেশি পারেন) এরপর ইস্তেগফার করুন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা
করার জন্য বেশি বেশি ইস্তেগফার করুন। বেশি বেশি আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করুন। এরপর
কুরআন তিলাওয়াত করতে চাইলে করতে পারেন। এরপর তাসবিহ ও জিকির করতে পারেন। এর
মধ্যে সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু,
বেশি বেশি জিকির ও তাজবিহ করুন। দুরুদ শরীফ পাঠ করুন, এরপর মোনাজাত করুন। আপনার
মনের সকল চাওয়া, আপনি যা কিছু চান, আপনার মনের সকল কথা আল্লাহর সাথে মোনাজাতে
বলুন। এভাবে আপনি তাহাজ্জুদ নামাজের পর আমল করতে পারেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের জিকির
তাহাজ্জুদ নামাজের পর অনেকে চান জিকির করতে, কিন্তু কি জিকির করবেন জানেন না।
তাহাজ্জুদের নামাজের পর জিকির করার সবচেয়ে বেশি উত্তম ও ফজিলতপূর্ণ। তাহাজ্জুদ
নামাজের পর জিকির করলে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। তাহাজ্জুদের নামাজের পর
আপনি বেশ কিছু জিকির করতে পারেন। নিচে সে জিকির গুলো দেওয়া হলোঃ
- সুবাহানাল্লাহ
- আলহামদুলিল্লাহ
- আল্লাহু আকবার
- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ
- ইস্তেগফার
- দুরুদ শরীফ
- সুবাহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবাহানাল্লাহিল আজিম
- লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ
আপনি তাহাজ্জুদ নামাজের পর উপরে দেওয়া এই জিকির গুলো বেশি বেশি করতে পারেন। এতে
আপনি সহজে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবেন। যত বেশি পারেন আল্লাহর প্রশংসা
করুন। কেননা তিনি আমাদের সবকিছুর মালিক। আজ পর্যন্ত তিনি আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছেন
এত ভাল রেখেছেন তার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করুন।
তাহাজ্জুদ নামাজের মোনাজাত দোয়া
তাহাজ্জুদ নামাজের মোনাজাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। কেননা অনেকে
শুধুমাত্র এই মোনাজাত করার উদ্দেশ্যে, আল্লাহর কাছে থেকে কিছু চাওয়া ও পাওয়ার
উদ্দেশ্যে মোনাজাত করেন। তাই মোনাজাতে যদি সঠিক দোয়া করতে না পারেন তাহলে
আল্লাহর কাছে কিভাবে চাইবেন। তাহাজ্জুদ নামাজের মোনাজাতের দোয়া গুলোর নিচে
দেওয়া হলোঃ
- রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাওঁ ওয়াকিনা আজাবান্নার।
- রাব্বানা লা তুজি কুলুবানা বা’দাই হাদাইতানা ওয়াহাব লানা মিল্লাদুংকা রাহমাতান ইন্নাকা আনতাল ওয়াহাব।
- আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়ারহামনি ওয়াহদিনি ওয়ারযুকনি ওয়া’আফিনি।
- আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা রিদাকা ওয়াল জান্নাতা ওয়া আউযুবিকা মিন সাখাতিকা ওয়াননার।
- আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলে মুহাম্মাদ, কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহিমা ওয়া আলা আলে ইবরাহিমা, ইন্নাকা হামিদুম মজিদ।
- (আরবি দেখে সঠিক ও শুদ্ধ ভাষায় মুখস্থ করুন)
উপরে বেশ কিছু তাহাজ্জুদ নামাজের মোনাজাতের দোয়া দিয়েছি। আপনারা মোনাজাতে এই
দোয়াগুলো পাঠ করতে পারেন। তবে উপরে দেওয়া এই দোয়াগুলো আরবি দেখে মুখস্ত করুন।
কেননা বাংলায় উচ্চারণ সঠিক হয় না।
তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া কবুল হয়
অনেকে এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করেন তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া কবুল হয় কিনা। আপনি
সঠিকভাবে নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে আপনার দোয়া যদি সৎ উদ্দেশ্যে হয়
তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ কবুল করবেন। আল্লাহ কবুল করবেন কিনা একমাত্র তিনিই জানেন।
তবে আমাদের উচিত আমাদের প্রিয় নবীর শেখানো নিয়ম অনুসরণ করা। গভীর রাতে দোয়া
করলে নিশ্চয়ই এই দোয়া কবুল হবে।
আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ প্রতিরাতে আসমানের নিকটবর্তী আকাশে অবতরণ করেন,
যখন রাতের শেষ তৃতীয়াংশ বাকি থাকে। তখন তিনি বলেন কে আছে আমাকে ডাকার, আমি তার
ডাকে সাড়া দেব, কে আছে আমার কাছে কিছু চাওয়ার, আমি তাকে দান করবো, কে আছে আমার
কাছে ক্ষমাপার্থনা করার আমি তাকে ক্ষমা করব। ( সহিহ বুখারী ১১৪৫, সহীহ মুসলিম
৭৫৮) তাই আমাদের উচিত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, মনের
পার্থনা গুলো আল্লাহকে জানানো।
লেখকের মন্তব্য
আমি তারেক ট্রিকসপ্রমো ওয়েবসাইটের এডমিন। আমি চাই সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাদের
সহযোগিতা করতে। আমার লেখা আর্টিকেলগুলি আপনাদের পছন্দ হলে নিয়মিত আমাদের
ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে প্রিয়জনদের উদ্দেশ্যে শেয়ার
করুন। অন্যান্য আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের ক্যাটাগরি গুলো ঘুরে আসুন।
এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ট্রিক্সপ্রমোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url