বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ইতালিতে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়। কারণ ইউরোপ গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের কাছে অনেক জনপ্রিয় একটি জায়গা। এখানে মানুষ বেশ কিছু কারণে যেতে চায়। এখানে কাজ, পড়াশোনা, এবং উন্নত জীবনযাপনের উদ্দেশ্যে অনেকেই ইউরোপে পাড়ি জমাতে চায়।

ইউরোপ-যাওয়ার-উদ্দেশ্য-নির্ধারণ-করাকিন্তু অনেক মানুষ আছে যারা বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অবগত নয়। তাই আমরা আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব কিভাবে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়া যায়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার সঠিক নিয়ম।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার নিয়ম

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার নিয়ম জানুন

বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ ইউরোপে যেতে চায় উন্নত জীবনযাপন এবং উন্নত পড়াশোনা ও কাজের জন্য। কিন্তু অনেক মানুষই জানে না বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার নিয়ম সঠিকভাবে। যারা ইউরোপে যেতে চায় তাদের জন্য ইউরোপে যাওয়ার নিয়ম, ভিসা প্রক্রিয়া, যাত্রার প্রস্তুতি এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানা খুবই দরকার। নিম্নে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো:
  • উদ্দেশ্য নির্ধারণ: ইউরোপ যেতে হলে প্রথমে আপনাকে ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্য নির্ধারণ করতে হবে। কারণ আপনি কি জন্য ইউরোপে যেতে চান সেই উদ্দেশ্য এবং আপনার ইউরোপে যাওয়ার পরে কিভাবে সেখানে থাকবেন এবং চলবেন সেটির উদ্দেশ্য অবশ্যই নির্ধারণ করতে হবে।
  • প্রয়োজনীয় ভিসার ধরন: আপনি ইউরোপে বেশ কয়েক ভাবে যেতে পারেন এবং ইউরোপে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েক ধরনের ভিসা প্রদান করে থাকে বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপ সরকার।এ বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, ও শেনজেন ভিসা।
  • ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া: ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। আপনি যে ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করবেন তার সাথে যেসব ডকুমেন্ট প্রয়োজন পড়বে সেগুলো সঠিকভাবে আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে।
  • ভ্রমণ পরিকল্পনা: ভ্রমণ পরিকল্পনা অবশ্যই করতে হবে এবং প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়াও আরো বেশ কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে যেগুলো সঠিকভাবে পালন করার পরে আপনি ইউরোপে যাওয়ার জন্য পুরোপুরি ভাবে তৈরি হতে পারবেন। ধাপে ধাপে আমরা এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা

কোনো জায়গায় যাওয়ার আগে অবশ্যই আমাদের সেখানে কেন যাচ্ছি এবং সেখানে গিয়ে কি হবে সে উদ্দেশ্য নির্ধারণ করতে হবে। আর এটি বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার নিয়ম এর মধ্যে অন্যতম একটি নিয়ম হিসেবে বিবেচ্য। কারণ সঠিকভাবে যদি উদ্দেশ্য নির্ধারণ না করা হয়ে থাকে তাহলে ইউরোপে যাওয়ার জন্য এটি একটি বড় বাধা।
ইউরোপ-যাওয়ার-ভিসা-আবেদন-প্রক্রিয়াআমাদের বাংলাদেশের মানুষ প্রধানত তিনটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ইউরোপে যেতে চায়। এই তিনটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশের মানুষ অনেক বেশি ইউরোপে যায় এবং সেখানে বসবাস করে। সে তিনটি উদ্দেশ্য হচ্ছে:
  1. উচ্চ শিক্ষাঃ বাংলাদেশের মানুষ প্রথমত ইউরোপের যাওয়ার কারণ গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে উচ্চ শিক্ষা প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অনেক স্টুডেন্ট উচ্চশিক্ষা লাভের আশায় ইউরোপে ভ্রমণ করে থাকে। কারন ইউরোপের শিক্ষাব্যবস্থা উন্নত এবং এই উন্নত শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য আমাদের বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ইউরোপ সরকার অনেক স্টুডেন্টকে ইউরোপে স্টুডেন্ট ভিসায় প্রবেশ করার অনুমতি দিয়ে থাকে।
  2. কর্মসংস্থানঃ আমাদের বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অনেক মানুষ উন্নত জীবনযাপনের আশায় বা বেশি অর্থ উপার্জন করার আশায় ইউরোপে পাড়ি জমে থাকে। বাংলাদেশের থেকে ইউরোপে শ্রমের মূল্য বেশি হওয়ার কারণে আমাদের বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অনেক শ্রমিক উন্নত জীবন যাপন এবং বেশি অর্থ উপার্জনের আশায় ইউরোপে পারি জমিয়ে থাকে।
  3. পর্যটনঃ ইউরোপ এমন একটি দেশ যে দেশে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর অনেক পর্যটন যায় সে দেশের প্রকৃতি এবং সেখানকার দর্শনীয় স্থানগুলো দেখার জন্য। তাই প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ ইউরোপে গিয়ে থাকে ইউরোপের প্রকৃতি এবং সেখানকার বিখ্যাত কিছু জায়গা দেখার জন্য এবং সেখানকার সংস্কৃতি এবং চলাফেরা এবং উন্নত জীবন যাপন এবং সেখানকার পরিবেশের সাথে এবং সেখানকার মানুষের সাথে মিশে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ প্রতিবছর ইউরোপে পাড়ি জমায়।
তাই ইউরোপে পারি জমানোর আগে অবশ্যই ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

ইউরোপ যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ভিসার ধরন

ইউরোপ যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসার প্রয়োজন হয়ে থাকে। এজন্য ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই আগে থেকে কাগজপত্র প্রস্তুত এবং প্রয়োজনীয় কাজগুলো ঠিক করে রাখতে হবে। ইউরোপ যাওয়ার জন্য যে ধরনের ভিসার প্রয়োজন পড়ে তা নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো:
  • স্টুডেন্ট ভিসাঃ বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ইউরোপে অনেক স্টুডেন্ট শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য ইউরোপে পাড়ি জমায়। স্টুডেন্ট ভিসার জন্য যে প্রয়োজনীয় কাগজগুলো প্রয়োজন পড়ে তা হলো: পাসপোর্টের কপি (কমপক্ষে ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে), ভর্তির প্রমাণপত্র (এডমিশন লেটার), শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফি প্রদানের প্রমাণ, আর্থিক সহায়তার প্রমাণ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট), হেলথ ইন্সুরেন্স।
  • ওয়ার্ক পারমিটঃ ইউরোপে কর্মসংস্থানের জন্য প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ ইউরোপে পারি জমায়। কিছু কিছু নির্দিষ্ট দেশ নির্দিষ্ট কোন কাজের জন্য ওয়াট পারমিটের জন্য ভিসা প্রদান করে থাকে। ওয়ার্ক পারমিটের জন্য যেসব ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন পড়বে তা হলো: চাকরির অফার লেটার, প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, কাজের অভিজ্ঞতা প্রমাণপত্র, স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ইন্সুরেন্স। 
  • শেনজেন ভিসাঃ পর্যটকদের জন্য ইউরোপ সরকার যে ভিসা প্রদান করে থাকে সেটি কে শেনজেন ভিসা বলা হয়ে থাকে। এ ভিসা পাওয়ার জন্য যেসব ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন পড়ে তা হলো: পাসপোর্ট (কমপক্ষে ৩ মাস মেয়াদ থাকতে হবে), ভ্রমণের প্রমাণ (ফ্লাইটের টিকিট), হোটেল বুকিং বা থাকার ঠিকানা, পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা, ট্রাভেল ইন্সুরেন্স ( কমপক্ষে ৩০ হাজার ইউরো কভারেজ সহ)।
ইউরোপ ভ্রমণের জন্য ইউরোপ সরকার এ ধরনের ভিসা গুলো ইস্যু করে থাকে তাই ইউরোপে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় এই বিষয়গুলোর মধ্যে আপনি যে ভিসায় ইউরোপে প্রবেশ করতে চান সে অনুযায়ী আপনি আপনার ভিসা গ্রহণ করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ইউরোপ যাওয়ার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

আপনি যদি সঠিক ও বৈধভাবে ইউরোপ যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার নিয়ম মেনে ভিসা আবেদন করে ভিসা নিয়ে ইউরোপ যেতে হবে। ইউরোপ যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া আপনি যেভাবে সম্পূর্ণ করবেন তা নিম্নে বিস্তারিত বলা হচ্ছে। তবে খেয়াল রাখবেন প্রত্যেক ইউরোপীয় দেশের ভিসা প্রক্রিয়া কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। তবে সাধারণ যে ধাপগুলো রয়েছে যা প্রতিটি ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা নিম্নে তুলে ধরা হলো:
  • অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণঃ নির্দিষ্ট দূতাবাস বা কনসাল্ট ওয়েবসাইট থেকে ভিসা আবেদন ফর ডাউনলোড করে যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে।
  • ডকুমেন্টস জমাঃ ভিসা আবেদনের সময় অবশ্যই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো জমা করতে হবে
  • ভিসা ফি প্রদানঃ ভিসা আবেদনের সাথে সাথে ভিসা ফি প্রদান করতে হবে। এক এক ধরনের ভিসার জন্য এক এক রকম ফি হতে পারে।
  • ইন্টারভিউঃ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বা অনেক সময় দেখা যায় ভিসা আবেদন করার পরে সাক্ষাৎকার বা ইন্টারভিউ এর প্রয়োজন পড়ে।
  • বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদানঃ ইউরোপের কিছু দেশে ভ্রমণ করার জন্য বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করার প্রয়োজন পড়ে থাকে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদানের জন্য আঙুলের ছাপ ও ছবির প্রয়োজন হয়।
  • ভিসা অনুমোদনঃ তখন আপনাকে পরিকল্পনা এবং যাত্রার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
এভাবেই আপনি ইউরোপ যাওয়ার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া খুব সহজে এবং কোন প্রকার ভেজালমুক্তভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন।

ইউরোপ যাওয়ার জন্য কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অনেক মানুষ ইউরোপের দেশগুলোতে পাড়ি জমায় উন্নত শিক্ষা গ্রহণ, কর্মসংস্থান, বা ছুটি কাটানোর জন্য। যারা ইউরোপে যেতে ইচ্ছুক তারা অনেকে জানে না ইউরোপে যাওয়ার জন্য কোন কোন ডকুমেন্টসগুলো প্রয়োজন পড়ে থাকে। ইউরোপে যাওয়ার জন্য যেসব ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন পড়বে তা হচ্ছে:
  • পাসপোর্টঃ ভ্রমনের জন্য মেয়াদ থাকবে এমন একটি পাসপোর্ট অবশ্যই প্রয়োজন পড়বে।
  • আবেদন ফরমঃ অবশ্যই নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্টঃ ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রমাণ থাকতে হবে যে আপনি আর্থিকভাবে ইউরোপ ভ্রমনের জন্য সমর্থ্যবান।
  • হেলথ ইন্সুরেন্সঃ ইউরোপের বেশিরভাগ তেজ ভ্রমণের সময় স্বাস্থ্য বীমা থাকা বাধ্যতামূলক করে থাকে। তাই অবশ্যই হেলথ ইন্সুরেন্সের প্রয়োজন পড়বে।
  • অভ্যর্থনা চিঠিঃ কাজ বা পড়াশোনার জন্য ইউরোপে ভ্রমণ করলে অবশ্যই অভ্যর্থনা চিঠি বা স্পন্সার চিঠি জমা দিতে হবে।
  • ছবিঃ নির্ধারিত সাইজের বা ফরম্যাটের ছবি জমা করতে হবে যা অনেক দূতাবাসের প্রয়োজন পড়ে।
ইউরোপের অনেক দেশ অনেক ডকুমেন্টস জমা নিয়ে থাকে তবে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে প্রায় সব দেশে এই সাধারণ ছয়টি ডকুমেন্টস অবশ্যই জমা নেয়। তা এই ডকুমেন্টগুলো অবশ্যই সঠিকভাবে জমা করতে হবে।

কিভাবে প্রস্তুতি এবং ভ্রমণ পরিকল্পনা করবেন

কিভাবে প্রস্তুতি এবং ভ্রমণ পরিকল্পনা করবেন সে বিষয়ে জানতে গেলে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে ভ্রমণের তারিখ ঠিক করে নেওয়ার সময় অবশ্য খেয়াল রাখতে হবে সেটি যেন আপনার অনুকূলে থাকে। এছাড়া ভ্রমণের জন্য ফ্লাইট টিকিট থাকার ব্যবস্থা এসব বিষয়ে নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে ভিসা অনুমোদন পাওয়ার পর পরে এগুলো বুকিং করে নেওয়া উত্তম। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির জন্য অনেক দেশের ভ্রমণ বিরোধী পরিবর্তন করা হয়েছে।

অনেক দেশেই কবিদের টেস্ট রিপোর্ট ও সনদ প্রয়োজন হতে পারে ভ্রমণ করার জন্য। এক্ষেত্রে অবশ্যই কোভিড-১৯ এর টেস্ট রিপোর্ট এবং সনদ সংগ্রহ করে রাখতে হবে। ইউরোপ ভ্রমণের সময় অবশ্যই ব্যয় নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। ব্যয় অনুসারে বাজেট প্রস্তুত করতে হবে এবং জরুরি খরচের জন্য কিছু অর্থ সংরক্ষিত করে রাখতে হবে।

ইউরোপে থাকার নিয়ম এবং নিরাপত্তা নির্দেশিকা

ইউরোপে থাকার বেশ কিছু নিয়ম ও নিরাপত্তা নির্দেশিকা অবশ্যই মেনে চলা জরুরি । কারণ ইউরোপে থাকার সময় আপনি যদি নিয়ম ভঙ্গ করেন এবং নিরাপত্তা নির্দেশিকা না মেনে থাকেন তবে আপনাকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। তাই অবশ্যই ইউরোপে থাকার নিয়ম এবং নিরাপত্তা নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। ইউরোপে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক দায়িত্ব নিজের উপর বহন করতে হবে। কারণ সেখানে যদি কর্মসংস্থানের কোন ব্যবস্থা না হয় তাহলে অবশ্যই নিজের খরচ বহন করার মতো সক্ষমতা থাকা দরকার।
কিভাবে-ভ্রমণ-পরিকল্পনা-করবেনএছাড়াও সেখানকার স্থানীয় আইন কানুন মেনে চলতে হবে। কোন ধরনের অপরাধমূলক কার্যকর্মে জড়ালে ভিসা বাতিল ও কারাদণ্ড উভয়ই হতে পারে। নিরাপত্তার জন্য ও সুরক্ষার জন্য অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। অজানা বা সন্দেহজনক কোন পরিস্থিতিতে না জড়া নাই সব থেকে বেশি বুদ্ধিমানের কাজ। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কিছু স্বাস্থ্যবিধি এবং সতর্কতা বাণী রয়েছে সেসব স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতা বাণী অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

ইউরোপের কিছু জনপ্রিয় দেশ ও তাদের ভিসা প্রক্রিয়া

ইউরোপ ইউনিয়নভুক্ত বেশ কিছু জনপ্রিয় দেশ এবং তাদের ভিসা প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই জেনে থাকা দরকার সেগুলোর তালিকা নিম্নে দেওয়া হলোঃ
  1. যুক্তরাজ্যঃ বাংলাদেশদের জন্য ইউরোপের একটি জনপ্রিয় দেশ হচ্ছে যুক্তরাজ্য। যুক্ত রাজ্য স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট সহ বিভিন্ন ধরনের ভিসা প্রদান করে থাকে।
  2. জার্মানিঃ জার্মানি শিক্ষা ও কাজের জন্য বাংলাদেশীদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত একটি দেশ। এখানে বাংলাদেশের মূলত স্টুডেন্ট ভিসা এবং কাজের জন্য যায়। এ দেশের স্টুডেন্ট ভিসা অন্যান্য ভিসার থেকে অপেক্ষাকৃত সহজ এবং আর্থিক সহায়তা সুযোগ বেশি।
  3. ফ্রান্সঃ পর্যটকভিত্তিক একটি দেশ ফ্রান্স। প্রতিবছর এখানে অনেক পর্যটক ছুটি কাটাতে আসে। ফ্রান্সে শেনজেন ভিসার মাধ্যমেও ফ্রান্সের ভ্রমণ করা যায়।
  4. ইতালিঃ ইতালি মূলত পর্যটন এবং কাজের জন্য সবথেকে বেশি জনপ্রিয়। ফ্যাশন, শিল্প, এবং খাবারের জন্য ইতালি বিশেষভাবে পরিচিত লাভ করেছে বিশ্বের কাছে।

ইউরোপ যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সাধারণ সমস্যা এবং সমাধান

ইউরোপ যাওয়ার ক্ষেত্রে বেশকিছু সাধারণ সমস্যা দেখা দিতে পারে। বেশ কিছু সাধারণ সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে ভিসা প্রত্যাখ্যান বা আবেদন গ্রহণে বিলম্ব। অনেক সময় দেখা যায় ভিসা প্রত্যাখ্যান করে বা আবেদন গ্রহণ করতে অনেক বেশি দেরি করতে পারে। এটি ইউরোপ যাওয়ার ক্ষেত্রে একটি খুব সাধারন সমস্যাগুলোর মধ্যে পড়ে। এছাড়াও পাসপোর্ট ইন্সুরেন্স বা আর্থিকপ্রমাণের ঘাটতি। অনেক সময় পাসপোর্ট এর কারনে ভিসা প্রত্যাখ্যান হয়ে যেতে পারে।

এছাড়াও ইন্সুরেন্স বা আর্থিক প্রমাণের ঘাটতি দেখা দিলে অনেক সময় ভিসা প্রত্যাখ্যান বা আবেদন গ্রহণ করতে অনেক বেশি দেরি করে থাকে। এছাড়াও অনেক সময় ভাষাগত সমস্যার কারণেও ইউরোপ যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। অনেকেই সঠিক ভাবে ভাষা না শিখে বা ভাষা না জেনে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করে থাকে যার ফলে এই ধরনের সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে সেগুলোর সঠিকভাবে সমাধান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ পরবর্তীতে ভিসা পাওয়ার জন্য অনেক বেশি সাহায্য করবে।

শেষ কথা

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার ক্ষেত্রে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ভিসা ও প্রবেশের নিয়মে কিছু পার্থক্য থাকতে পারে সুতরাং প্রতিটি দেশের কনস্যুলেটের নির্দেশনা মেনে আবেদন করা উচিত। সফল ভিসা আবেদন এবং প্রস্তুতির মাধ্যমে ইউরোপে ভ্রমণ একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা হতে পারে। আশা করি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে থাকুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। 33612

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ট্রিক্সপ্রমোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url