মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো তার বিস্তারিত জানুন
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো, এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক
জায়গাতে এসেছেন আজকের আর্টিকেলে আমরা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখার উপায়
সম্পর্কে আলোচনা করব।
এছাড়াও আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফিল্যান্সিং শিখে ইনকাম করা
যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নিই
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কিভাবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার কিছু সাইট
- মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সুবিধা
- ফ্রিল্যান্সিং শিখতে প্রয়োজনীয় কিছু ইকুইপমেন্ট
- মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং এর প্রকারভেদ
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উত্তোলন
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সীমাবদ্ধতা
- ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক কিছু টিপস
- লেখক এর মন্তব্য
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা এবং
শুরু করা এখন অনেক সহজ। যাদের কাছে কম্পিউটার নেই তারাও শুধুমাত্র একটি স্মার্ট
ফোন ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে এবং বিভিন্ন কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে
পারেন এবং এখানে মোবাইল দিয়ে শিখতে এবং সফলভাবে শুরু করা নিয়ে আলোচনা করা হলো।
স্কিল শেখার জন্য অ্যাপ ও অনলাইন কোর্সঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং
শুরু করার প্রথম ধাপ হলো প্রয়োজনীয় স্কিল শেখা। এর জন্য ইউটিউব ইউডেমি এবং
স্কিল শেয়ার এর মতো প্লাটফর্মে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং শেখার ভিডিও কোর্স রয়েছে
এবং এ প্লাটফর্ম গুলিতে ডিজিটাল মার্কেটিং এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন ভিডিও এডিটিং
কন্টেন্ট রাইটিং এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মত জনপ্রিয় স্কেল শেখা যায় এবং অনেক
কোর্স ফ্রী অথবা কম খরচে পাওয়া যায় যা মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী।
মোবাইল ফ্রেন্ডলি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মঃ ফ্রিল্যান্সিং শিখে কাজ
করতে হলে প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে নিবন্ধন করতে হবে যেমন Upwork,
Fiverr এবং ফ্রিল্যান্সারের মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম গুলোর মোবাইলে রয়েছে যা
আপনি মোবাইল দিয়ে প্রোফাইল তৈরি করে প্রজেক্ট এর মত বিট করতে পারবেন এবং ফাইবার
এ বিশেষভাবে গিগ তৈরি করে সরাসরি ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকে অর্ডার পেতে পারেন।
মোবাইল ফ্রেন্ডলি সফটওয়্যার ও টুলসঃ ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন কাজে
মোবাইল দিয়েও করা যায় এবং গ্রাফিক ডিজাইনের ক্যানভা এবং পিক্সেলার এবং
স্ন্যাপসিড এর মত অ্যাপ ব্যবহার করা যায় এবং কন্টেন রাইটিং এর জন্য গুগল ডক্স
এবং এম এস ওয়ার্ড অ্যাপ রয়েছে ভিডিও এডিটিং এর জন্য কাইনমাস্টার্ড এবং পাওয়ার
ডিরেক্টর ও ইনশট এর মত অ্যাপ আছে যা মোবাইল ব্যবহারকারীদের ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ
করতে সহায়ক।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হতে
চাইলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা ভালো একটি উপায়।
যেমন facebook instagram এর মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রমোশন করে উপার্জন করা
যায় এবং অনেক মার্কেটিং কাজ যেমন পোস্ট ডিজাইন বিজ্ঞাপন পরিচালনা এবং কনটেন্ট
ম্যানেজমেন্ট মোবাইলে করা যায়।
ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ রক্ষাঃ ফ্রিল্যান্সিং এ ক্লায়েন্টদের
সঙ্গে ভালো যোগাযোগ রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এর জন্য whatsapp এবং টেলিগ্রাম
এবং স্কাইপি এর মত অ্যাপ ব্যবহার করে সহজে ক্লায়েন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়
এবং ভালো যোগাযোগ রাখার মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের চাহিদা বোঝা এবং তাদের সন্তুষ্ট
করার সহজ হয়।
কার্যের পোর্টফোলিও তৈরি করাঃ ফ্রিল্যান্সিং এর ভালো প্রোফাইল তৈরি
করার জন্য পোর্টফলিও থাকা জরুরি এবং মোবাইল দিয়ে বিহেন্স এবং ড্রিবেল গুগল
ড্রাইভে কাজের উদাহরণ সংরক্ষণ করা যায় এবং পোর্টফলিও ক্লায়েন্টের বিশ্বাস তৈরি
করতে সহায়তা করে এবং কাজের সংযোগ ও সুযোগ বৃদ্ধি করে।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার কিছু সাইট
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অনেকগুলো সাইড ও অ্যাপ রয়েছে যেগুলো
ব্যবহার করে সহজেই কাজ শুরু করা যায় এবং এ সাইটগুলো মোবাইল ফ্রেন্ডলি হওয়ার সহজ
উপায় করা যায়। এখানে কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইটের কথা উল্লেখ করা হলো যা
মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী।
Fiverr: Fiverr একটু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট যেখানে
ফ্রিল্যান্সার তাদের স্কুল অনুযায়ী গিগ তৈরি করে। মোবাইলে Fiverr এর
অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি প্রোফাইল তৈরি করে গিগ পোস্ট এবং ক্লায়েন্টদের সঙ্গে
যোগাযোগ করতে পারেন এবং Fiverr মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সহজ এবং ব্যবহারে
সহজসাধ্য। ডিজাইন কন্টেন্ট রাইটিং এবং ভিডিও এডিটিংসহ বিভিন্ন কাজে এখানে গিগ
তৈরি করা যায়।
আপওয়ার্কঃ আপওয়ার্ক একটি বড় এবং জনপ্রিয়
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বিট করতে হয় এবং
আপওয়ার্ক এর মোবাইলে অ্যাপ আছে যা ব্যবহার করে প্রোফাইল তৈরি কাজের জন্য বিট করা
এবং ক্লাইন্টের সঙ্গে চ্যাট করার সুবিধা পাওয়া যায় এবং আপওয়ার্ক এ লেখালেখি
গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রোগ্রামিং এবং ডাটা এন্ট্রি এর মত বিভিন্ন স্কুলের কাজ পাওয়া
যায়।
ফ্রিল্যান্সারঃ ফ্রিল্যান্সার একটি বহুল ব্যবহৃত ফ্রিল্যান্সিং
প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন কাজের জন্য বিট করতে হয় এবং ফ্রিল্যান্সার অ্যাপটি
ব্যবহার করে কাজ খুঁজে পাওয়া এবং বিট করা ক্লায়েন্টদের সঙ্গে মেসেজিং করা সহজ
এবং এই সাইটে বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায় যেমন ওয়েব ডিজাইন কনটেন্ট রাইটিং
এবং ডাটা এন্ট্রি যা মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সহজ হয়ে যায়।
টপটালঃ যারা উচ্চ মানের প্রজেক্টে কাজ করতে চান তাদের জন্য টপটাল
একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক স্কুলের ফ্রিল্যান্সারদের বাছাই
করা হয় এবং উচ্চ মানের প্রজেক্ট এর জন্য ক্লায়েন্টের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা
হয় এবং টপটাল মোবাইলের জন্য সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং বিশেষ করে সফটওয়্যার
ডেভেলপার ডিজাইনার এবং ফাইন্যান্স এক্সপার্টদের জন্য একটি আদর্শ।
পিপুল পার আওয়ারঃ পিপল পার আওয়ার একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট
যা মূলত ইউরোপের বাজারে বিশেষ ভাবে জনপ্রিয় এবং মোবাইলে বিপুল পার আওয়ার এর
ব্যবহার করে কাজের জন্য বিট করা এবং ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করা যায়
এবং গ্রাফিক ডিজাইন লেখালেখি এবং মার্কেটিং এর জন্য এখানে অনেক সুযোগ পাওয়া যায়
যা মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব।
গুরুঃ গুরু আরেকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট যেখানে
ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন কাজের জন্য প্রোফাইল তৈরি করতে পারে এবং গুরু মোবাইলের
অ্যাপ ব্যবহার করে কাজ খোঁজা এবং বিট করা খুবই সহজ। গুরু বিভিন্ন ধরনের কাজের
জন্য জনপ্রিয় যেমন লেখালেখি প্রোগ্রামিং এবং ডিজাইন কনসাল্টিং।
আরো পড়ুনঃ সুইজারল্যান্ডে কোন কাজের চাহিদা বেশি
মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ
মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এখন অনেক সহজ এবং জনপ্রিয়। যারা মোবাইল দিয়ে
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো বলে মনে করে তাদের জন্য বলি, আপনি বর্তমানে কম্পিউটার
ও স্মার্টফোন ব্যবহার করে খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারেন। এখানে
মোবাইল দিয়ে সহজে কি কি কাজ করা যায় এমন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ নিয়ে
আলোচনা করা হলো।
কনটেন্ট রাইটিংঃ মোবাইল ব্যবহার করে কন্টেন রাইটিং বা আর্টিকেল
রাইটিং করার একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ। অনেক সাইট এবং ক্লায়েন্ট বিভিন্ন
বিষয় নিয়ে কন্টেন্ট লিখে থাকে যেগুলো গুগল ডক্স এবং মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর মত
অ্যাপ ব্যবহার করে মোবাইল দিয়ে সহজ আর্টিকেল লিখে জমা দেওয়া যায় এবং যাদের
লেখালেখির প্রতি আগ্রহ আছে এবং ভালো লিখতে পারেন তাদের জন্য এটি উপযুক্ত।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টঃ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবস্থাপনার
ফ্রিল্যান্সিং এর একটি বড় ক্ষেত্র যেখানে মোবাইল ব্যবহার করে কাজ করা যায় এবং
ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য যেমন facebook instagram এবং twitter এর মত
প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা কন্টেন্ট পোস্ট করা এবং মেসেজের উত্তর দেওয়া একটি
গুরুত্বপূর্ণ কাজ এবং এ কাজটি মোবাইলে সাহায্য করা যায় কারণ প্রায় সব সোশ্যাল
মিডিয়া প্লাটফর্মের মোবাইল অ্যাপ রয়েছে।
গ্রাফিক ডিজাইন ও ছবি এডিটিংঃ মোবাইলের জন্য বিভিন্ন গ্রাফিক্স
ডিজাইন এবং ছবি এডিটিং অ্যাপ রয়েছে যা ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ডিজাইন তৈরি করা
যায় যেমন ক্যানভা এবং স্ন্যাপচ্যাট এর মত এর ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়া
পোস্টার ডিজাইন করা হয় এবং ডিজাইনের দক্ষতা থাকলে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং
করা সম্ভব।
ভিডিও এডিটিংঃ ভিডিও এডিটিং এখন মোবাইলে সহজে করা যায় এবং অনেক
অ্যাপ এ কাজের জন্য খুবই কার্যকর এবং কাইনমাস্টার এবং পাওয়ার ডিরেক্টর এর মত
মোবাইলে ব্যবহার করে সহজে এডিটিং করা যায় ভিডিও এবং এডিটিং এ যারা আগ্রহী এবং
যারা মোবাইল ব্যবহার করে দক্ষতা অর্জন করতে চাই তাদের জন্য এটি ভালো সুযোগ।
অনলাইন টিউটরিংঃ অনলাইন টিউটোরিং মোবাইল দিয়ে সহজে করা যায় এবং
অনেক ফ্রিল্যান্সিং সাইট সেবা প্রদান করে। আপনি যদি নির্দিষ্ট বিষয় এ দক্ষ হোন
তবে স্কাইপি বা জুম এর মত ভিডিও কল অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষার্থীকে পড়াতে
পারেন এবং এভাবে শিক্ষাদানের মাধ্যমে আয় করা যায়।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করাঃ ভার্চুয়াল
অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে মোবাইল দিয়ে কাজ করা সম্ভব। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
এর কাজ সাধারণত ইমেইল ম্যানেজমেন্ট এবং ডাটা এন্ট্রি ক্যালেন্ডার ম্যানেজমেন্ট
এবং বিভিন্ন অ্যাডমিনিস্ট্রেটটিভ নিয়ে কাজ গঠিত। ফাইভার এবং আপওয়ার্ক এর মত
সাইটে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ পাওয়া যায়।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সুবিধা
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার অনেক সুবিধা রয়েছে। বিশেষ করে যারা কম্পিউটার
বা ল্যাপটপ ব্যবহার করেন না তাদের জন্য সহায়ক। মোবাইল ডিভাইসের সাহায্যে
ফ্রিল্যান্সিং কাজ সহজ এবং দ্রুত করা যায়। এখানে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং
কিভাবে শিখবো তার বেশ কয়েকটি সুবিধা নিয়ে আলোচনা করা হলো।
যেকোন জায়গা থেকে কাজ করার সুযোগঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করলে
আপনি যে কোন জায়গা থেকে কাজ করতে পারেন এবং শুধু একটি ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই
কাজ শুরু করা যায় এবং বাসায় বসে অফিসে অপেক্ষার সময় বা কোনো ভ্রমণের মাঝে
মোবাইল দিয়ে সহজে কাজ করা যায় এবং এই সুবিধা দের জন্য সময় এবং স্থানের বাধা
দূর করে দেয়।
মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কাজের ব্যবস্থাপনা সহজঃ বর্তমানে অনেক
ফ্রিল্যান্সিং সাইট এবং প্লাটফর্মের জন্য মোবাইলে রয়েছে যা ব্যবহার করে কাজের
ব্যবস্থাপনা এবং কাজ করা সহজ। Fiverr, Upwork, এবং ফ্রিল্যান্সার এর মত
অ্যাপ গুলোর মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ কাজের জন্য বিট করা এবং কাজ জমা
দেওয়া সহজে করা যায় এবং এই অ্যাপগুলোর মাধ্যমে কাজের নোটিফিকেশন পাওয়া যায় যা
কাজের প্রবাহ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
কম খরচে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সুযোগঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং
শুরু করতে অতিরিক্ত খরচ প্রায় নেই বললে চলে। একটি ভালো স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট
সংযোগ থাকলে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এবং তাই যারা কম খরচে
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চায় তাদের জন্য এটি একটি ভালো সুযোগ এবং অনেক কাজ যেমন
লেখা ডিজাইন এবং সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট মোবাইল দিয়ে করা যায়।
কাজের গতি এবং সহজলভ্যতাঃ মোবাইল সবসময় হাতে থাকে বলে কাজের গতি
বেড়ে যায়। কোন কাজের নোটিফিকেশন বা ক্লায়েন্টের মেসেজ আসলে দ্রুত উত্তর দেওয়া
সম্ভব হয় যা ক্লায়েন্টের সন্তুষ্টি বাড়ায় এবং তাছাড়া মোবাইলে কাজের অ্যাপ
এবং সরঞ্জাম সহজলভ্য হওয়ায় ফ্রিল্যান্সিং কাজ দ্রুত করা যায়।
প্রয়োজনীয় অ্যাপ এবং টুল সহজে পাওয়া যায়ঃ মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং
এর জন্য প্রয়োজনীয় অনেক অ্যাপ ও টুল সহজে পাওয়া যায় যেমন কনটেন্ট লেখার জন্য
গুগল ডক্স এবং ডিজাইন করার জন্য ক্যানভা এডিটিং এর জন্য কাইনমাস্টার এই অ্যাপ
গুলোর মাধ্যমে মোবাইল থেকে প্রয়োজনে কাজগুলো সম্ভব সম্পন্ন করা যা
ফ্রিল্যান্সিংয়ের সময় দক্ষতা বাড়ায়।
বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার সুযোগঃ মোবাইল দিয়ে বিভিন্ন
ধরনের ফ্রিল্যান্সিং করা যায় যেমন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, কন্টেন্ট
রাইটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং এবং ডাটা এন্ট্রি যাদের কম্পিউটার নেই
তারা এসব কাজ মোবাইল দিয়ে করতে পারে এবং আয় করতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে প্রয়োজনীয় কিছু ইকুইপমেন্ট
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে এবং দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইকুইপমেন্ট
প্রয়োজন হয় যা কাজের গতি বাড়াতে এবং কাজের মান উন্নত করতে সাহায্য করে এবং
ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য সঠিক ইকুইপমেন্ট থাকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এগুলো
কাজের দক্ষতা বাড়ায় এবং সহজে কাজ করতে সাহায্য করে এবং এখানে ফ্রিল্যান্সিং
শিখতে প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট নিয়ে আলোচনা করা হলো।
ল্যাপটপ বা কম্পিউটারঃ ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য একটি ভালো ল্যাপটপ বা
কম্পিউটার প্রয়োজন এবং ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন কাজ যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন,
ভিডিও এডিটিং এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটার প্রয়োজন হয়
এবং কমপক্ষে ৮ জিবি র্যাম এবং দ্রুত প্রসেসর কম্পিউটার থাকলে কাজের গতীয় মান
বৃদ্ধি পায় এবং ল্যাপটপ ব্যবহারে চলার পথে বা যে কোন জায়গায় বসেও কাজ করা যায়
যা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সহায়ক।
ইন্টারনেট সংযোগঃ ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে একটি উচ্চ গতির ইন্টারনেট
সংযোগ থাকা অপরিহার্য এবং ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে ক্লায়েন্টের সঙ্গে যোগাযোগ
করা কাজ আপলোড করা বা বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে কাজ পাওয়া কঠিন হয়ে যায় এবং
১৫ থেকে ২০ এমবিবিএস গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ হলে কাজের গতি বৃদ্ধি পায় এবং
ভিডিও কনফারেন্সিং ফাইল আপলোড বা ডাউনলোড ইত্যাদি দিতে সাহায্য করে উচ্চগতির
ইন্টারনেট।
হেডফোন বা ইয়ারফোনঃ ক্লাইন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করার সময় বা অনলাইন
মিটিংয়ে অংশ নিতে হেডফোন বা ইয়ারফোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো মানের একটি
হেডফোন ব্যবহার করলে ক্লাইন্টের কথা স্পষ্টভাবে সমাজ এবং পেশাদারিত্ব বজায় রাখা
যায় এবং বিশেষ করে যারা কাস্টমার সার্ভিস ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা অনলাইন
টিউটরিং এর মত কাজ করেন তাদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নির্ভরযোগ্য পাওয়ার ব্যাকআপঃ বিদ্যুৎ সংযোগের অনিয়মের কারণে
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ প্রায় ব্যাহত হতে পারে তাই পাওয়ার ব্যাকআপ যেমন ইউপিএস বা
পাওয়ার ব্যাংক রাখা দরকার যা বিদ্যুৎ না থাকলেও কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়
এবং ল্যাপটপে কাজ করলে পাওয়ার ব্যাংক সহজে ব্যবহার করা যায় ডেস্কটপের জন্য
ইউপিএস অনেক কার্যকর।
কিবোর্ড ও মাউসঃ একটি আরামদায়ক কিবোর্ড এবং মাউস থাকলে কাজের সময়
আরম্ভ করা এবং দ্রুত ও নির্ভুল টাইপিং করা সহজ। বিশেষ করে যারা লেখালেখি বা ডাটা
এন্ট্রি নিয়ে কাজ করেন। এছাড়াও আরামদায়ক কিবোর্ড মাউস ব্যবহার করে বিভিন্ন
ডিজাইন ভিডিও এডিটিং সহজে করা যায়।
সফটওয়্যার ও টুলসঃ ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতিটি ক্ষেত্রে কিছু
সফটওয়্যার এবং টুল প্রয়োজন হয় যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য এডোবি ফটোশপ এবং
ইলুস্ট্রেটর ভিডিও এডিটিং এর জন্য এডোবি প্রিমিয়ার প্রো এবং ফাইনাল
কাট প্রো এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য ভিজুয়াল কোড স্টুডিও ইত্যাদি সফটার
ব্যবহার করা হয়। এই সফটওয়্যার ও টুলগুলোর দক্ষ ব্যবহারের মাধ্যমে
ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ দ্রুত এবং সফলভাবে সম্পন্ন করা যায়।
মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং এর প্রকারভেদ
মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ এনে দিয়েছে যা মানুষকে ঘরে বসে
আয় করার পথ দেখায় এবং বিভিন্ন ধরনের কাজ মোবাইল দিয়ে সাহায্য করা সম্ভব এবং
নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে যেমন মোবাইল ফ্রিল্যান্সিংয়ের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে
নিচে এই নিয়ে আলোচনা করা হলো।
ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসঃ ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিস বা ভিডিও অডিও
ট্রান্সক্রিপশন একটি জনপ্রিয় ইউনিক কাজ। এই কাজের বিভিন্ন অডিও বা ভিডিও ফাইল এর
কথা শুনে তা লিখে দিতে হয়। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসের জন্য
অনেক চাহিদা বেশি যা মোবাইল ব্যবহার করে গুগল ভয়েস টাইপিং সহজে করা যায় এবং এই
কাজের গতি, শোনার দক্ষতা এবং নিখুঁতভাবে টাইপিং করার সক্ষমতা থাকা প্রয়োজন।
অনলাইন সার্ভে এবং রিভিউ লেখাঃ অনলাইন সার্ভে পূরণ করা এবং প্রোডাক্ট
বা সার্ভিস রিভিউ লেখা একটি ইউনিক কাজ যা মোবাইল দিয়ে করা যায়। বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠান নতুন পণ্যের উপর মতামত পেতে গ্রাহকদের জন্য সার্ভে চালানো এবং বিভিন্ন
লেখার জন্য ফ্রিল্যান্সারদের নিযুক্ত করে যেমন Swagbucks, Toluna এবং লাইক
পয়েন্ট এর মতো প্লাটফর্মে সার্ভে রিভিউ লেখার কাজ পাওয়া যায় যা মোবাইলে এর
মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায়।
ইউজার টেস্টিং বা অ্যাপ টেস্টিংঃ অনেক কোম্পানি তাদের নতুন ওয়েবসাইট
অ্যাপ্লিকেশন চালু করার আগে তার টেস্ট করাতে চায় এবং এর জন্য ফ্রিল্যান্সারদের
নিয়োগ দেয়। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বা ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ফিচার টেস্ট করে তা
নিয়ে মতামত দেওয়া এবং সমস্যা গুলো উল্লেখ করার জন্য ইউজার টেস্টিং প্রয়োজন
হয়। USer Testing, TryMyUl এবং ইউ টেস্ট এর মত সাইডে এ ধরনের কাজ পাওয়া যায় যা
মোবাইলে সহজেই করা যায়।
কাস্টমার সাপোর্ট বা চ্যাট সাপোর্টঃ মোবাইল থেকে কাস্টমার সাপোর্ট
দেওয়া সম্ভব এবং এটি অনেক প্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ এবং
অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সমস্যা সমাধান
করা এবং তথ্য আদান প্রদান করার জন্য চ্যাট সাপোর্ট বা কাস্টমার সাপোর্টের জন্য
ফ্রিল্যান্সারদের ব্যবহার করে। এ কাজটি মোবাইলে সহজে চ্যাট অ্যাপ বা মেসেজিং
অ্যাপ ব্যবহার করে করা যায়।
ডেটা ক্যাপচার বা ইমেজ অ্যানাটেশনঃ ডেটা ক্যাপচার এবং
ইমেজ অ্যানাটেশন হল একটি ইউনিক ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্র যেখানে মোবাইল দিয়ে ছবি বা
ডেটা সংগ্রহ করা হয় এবং তার নির্দিষ্ট আকারে সাজানো হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
এবং মেশিন লার্নিং এর উন্নতির জন্য অ্যানাটেশন এবং লেভেলিং কাজ অনেক বেশি
প্রয়োজনীয় এ ধরনের কাজ করার জন্য। লেবেল বক্স এবং অ্যাপেন এর মত প্ল্যাটফর্ম
ব্যবহার করা হয়।
অনলাইন কোর্স তৈরি এবং বিক্রয়ঃ অনলাইন কোর্স তৈরি এবং একটি নতুন
ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ যা মোবাইলের মাধ্যমে করা যায় এবং যদি কোন নির্দিষ্ট
বিষয়ে আপনার দক্ষতা থাকে তবে তা নিয়ে একটি কোর্স তৈরি করতে পারেন এবং স্ক্রিল
শেয়ার এর মত প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করতে পারেন। মোবাইলের সহজে ভিডিও ধারণ করে এবং
ভিডিও এডিট করে কোর্স তৈরির কাজ করা সম্ভব।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উত্তোলন
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করে টাকা উত্তোলনের কিছু নির্ভরযোগ্য উপায়
এবং বিশ্বস্ত সাইটগুলোতে কাজ করার জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সাইট রয়েছে এই
নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো।
পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করাঃ ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করা টাকা
উত্তোলনের সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হল পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করা। পেপাল পে ওনার
এবং উইশ এর মত জনপ্রিয় পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে টাকা সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে
বা মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে স্থানান্তর করা যায়। বাংলাদেশ পেওনার এবং উইশ
ব্যবহৃত হয় বেশি এর কারন এগুলোর মাধ্যমে সহজে ফ্রিল্যান্সিংয়ের টাকা উত্তোলন
করা যায়।
মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করাঃ মোবাইল দিয়ে আয় করে টাকা তোলার
আরেকটি সহজ পদ্ধতি হলো মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করা যেমন বিকাশ, নগদ এবং
রকেটের মতো মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে সহজে টাকা তোলা যায়। অনেক
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেমন ফাইভার আপওয়ার্ক এ বিকাশ বা নগদ টাকা উত্তোলনের
সুবিধা রয়েছে এবং এতে দ্রুত নিরাপদে টাকা উত্তোলন করা সম্ভব।
বিশ্বস্ত ফ্রিল্যান্সিং সাইডে কাজ করাঃ বিশ্বস্ত এবং প্রতিষ্ঠিত
ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কাজ করার মাধ্যমে আপনার আয় নিরাপদ থাকে। যেমন আপওয়ার্ক,
ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার এবং পিপল পার আওয়ারের মতো বিশ্বস্ত সাইটগুলোতে কাজ করলে
টাকা না পাওয়ার ঝুঁকি থাকে না এবং এই সাইট গুলো ব্যবহারকারীর পেমেন্ট সুরক্ষার
জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে এবং প্রতিটি প্রজেক্ট সম্পন্ন হলে নির্দিষ্ট
সময়ে পেমেন্ট প্রদান করে।
ক্রসক্রো সিস্টেমঃ কিছু ফ্রিল্যান্সিং সাইটে ক্রসক্রো ও সিস্টেম
ব্যবহার করা হয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং ক্রসক্রো সিস্টেমে ক্লাইন্ট প্রথমে
কাজের জন্য নির্ধারিত টাকা সাইডে জমা রাখা। কাজ শেষ করার পরে কেবল
ফ্রিল্যান্সারদের টাকা উত্তোলন করতে পারে যেমন আপওয়ার্ক ও ফ্রিল্যান্সার এর মতো
সাইডে এই সুবিধা রয়েছে এবং এর ফলে ফ্রিল্যান্সারা নিশ্চিত হতে পারেন যে কাজ করার
পর টাকা পাবেন।
রেটিং এবং রিভিউ যাচাই করে কাজ পাওয়াঃ নতুন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কাজ
করার আগে প্ল্যাটফর্মের রেটিং এবং রিভিউ যাচাই করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ফ্রিল্যান্সিং সাইটের রিভিউ দেখেছে সাইটের উপর কতটা ভরসা রাখা যায় তা বোঝা যায়
এবং বিশেষ করে যেসব সাইট নতুন যেখানে রিভিউ যাচাই করে নিবন্ধন করুন। কেবলমাত্র
ভালো রিভিউ ও বিশ্বস্ত সাইডে কাজ করলে আয়ের টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকে।
কাস্টমার সাপোর্টের প্রয়োজনীয়তাঃ বিশ্বস্ত ফ্রিল্যান্সিং সাইটে
শক্তিশালী কাস্টমার সাপোর্ট ব্যবস্থা থাকে এবং যদি কোন সমস্যা বা বিলম্ব হয় তবে
দ্রুত কাস্টমার সাপোর্টার এর মাধ্যমে তার সমাধান করা যায় যেমন আপওয়ার্ক এবং
ফাইবার এর মত প্ল্যাটফর্মে ২৪ ঘন্টা কাস্টমার সাপোর্ট থাকে যা ব্যবহারকারীদের
পেমেন্ট সংক্রান্ত দ্রুত সমস্যা সমাধান করে।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সীমাবদ্ধতা
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সুবিধা থাকলেও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে যা ফেলে
আনসারদের কাজের গতি ও মানে প্রভাব ফেলে এবং এ সীমাবদ্ধতা গুলো জানা থাকলে মোবাইল
ব্যবহারকারীরা কার্যকর ভাবে কাজ করতে পারবেন এবং তাদের সাফল্য বাড়াতে সঠিক
পদক্ষেপ নিতে পারবেন।
ছোট স্ক্রিনের সীমাবদ্ধতাঃ মোবাইলের স্ক্রিন আকার তুলনামূলক ছোট
হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে বিস্তারিত কাজ করা কষ্টকর হয় এবং বিশেষ করে গ্রাফিক্স
ডিজাইন ভিডিও এডিটিং এবং প্রোগ্রামিং এর মত কাজগুলো মোবাইলের সীমাবদ্ধতার মধ্যে
পড়ে। ছোট স্ক্রিনের কারণে খুব কঠিন হয়ে পড়ে কাজ করা কম্পিউটারের সহজে করা
সম্ভব।
উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সফটওয়্যার ব্যবহারের সমস্যাঃ অনেক প্রফেশনাল
কাজের জন্য নির্দিষ্ট উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সফটওয়্যার প্রয়োজন যেমন অ্যাডোবি
ফটোশপ ইলুস্ট্রেটর এবং প্রিমিয়ার প্রো যা মোবাইলে সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার করা
সম্ভব নয় যা মোবাইলের হার্ডওয়ার ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে সীমিত হওয়ার এসব
সফটওয়্যার ডেস্কটপ ভার্সনের মতো সুবিধা মোবাইলে দেওয়া যায় না এবং এর ফলে
মোবাইল ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট কিছু কাজ করতে অসুবিধা সম্মুখীন হয়।
টাইপিং গতি ও সঠিকতার সীমাবদ্ধতাঃ মোবাইল টাইপিং করা তুলনামূলকভাবে
ধীর এবং কম সঠিক হতে পারে যেসব কাজ দ্রুত এবং বেশি টাইপিং এর প্রয়োজন যেমন
কনটেন্ট রাইটিং ট্রান্সক্রিপশন বা ডাটা এন্ট্রি সেসব কাজ মোবাইলে দ্রুত করা কঠিন
হয়ে পড়ে কাজের গতি কমে যায় এবং টাইপিং ভুল বেশি হতে পারে যা পেশাদারীতে প্রভাব
ফেলে।
মাল্টি টাক্সিংয়ে অসুবিধাঃ কম্পিউটারের তুলনায় মোবাইলে একাধিক কাজ
একসঙ্গে করা কঠিন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের সময় একই সাথে বিভিন্ন ট্যাগ বা উইন্ডোতে
কাজ করা প্রয়োজন হতে পারে যেমন ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ তথ্য যাচাই ও ফাইল
আপলোড এবং মাল্টিটাক্সিং সীমিত হওয়ায় বিভিন্ন ট্যাক্সের মধ্যে দ্রুত সুইচ করা
কঠিন হয় এবং ফ্রিল্যান্সারদের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।
ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক কিছু টিপস
ফ্রিল্যান্সিং এর সফল হতে হলে বিশেষ কোনো দক্ষতার উপর মনোযোগ দেয়া গুরুত্বপূর্ণ
এবং প্রথমে নিজের দক্ষতা যাচাই করে নিতে হবে এবং যেকোন নির্দিষ্ট বিষয় পারদর্শী
হতে চেষ্টা করতে হবে উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনের দক্ষ হন তবে সে
বিষয়ে আর দক্ষতা অর্জন করুন এবং মার্কেটপ্লেসে সেই দক্ষতা দেখিয়ে প্রোফাইল তৈরি
করুন।
ফ্রিল্যান্সিং এর ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো যোগাযোগ
দক্ষতা আপনাকে কাজের মধ্যে স্পষ্টতা আনতে সাহায্য করবে এবং ক্লায়েন্টদের চাহিদা
অনুযায়ী মানসম্পন্ন কাজ সরবরাহ করতে সক্ষম হবে এবং পরিষ্কারভাবে পেশাদারিত্ব
বজায় রেখে ক্লায়েন্টদের প্রয়োজনীয়তা বুঝে কাজের প্রতিটি ধাপ সম্পর্কে জানান
এবং ফিডব্যাক এর জন্য প্রস্তুতি থাকা জরুরী।
ফ্রিল্যান্সিং এর সময় মত কাজ ডেলিভারি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রজেক্ট
ডেড লাইন মেনে চলা এবং সময় মত কাজ শেষ করা হলে ক্লাইন্টরা সন্তুষ্ট হয় এবং
পুনরায় কাজ করতে আগ্রহী হয়। এছাড়া কাজের গুনগত মান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়
কাজ শেষ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি তৈরি করতে হবে তা মেনে চলার চেষ্টা
করতে হবে।।
লেখক এর মন্তব্য
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করে
ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে এবং আপনি যদি
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান মোবাইল দিয়ে এবং এই সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে থাকেন
তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য এবং এখানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধু
ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা এখান থেকে জানতে
পারবেন বিস্তারিত।
এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং
তথ্যমূলক আর্টিকেল যদি আরো পড়তে চান তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন
কারণ আমরা আমাদের। ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের তথ্যমূলক আর্টিকেল প্রকাশ করে
থাকি। 37147
ট্রিক্সপ্রমোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url