ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা
মেথি চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতাইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এই আর্টিকেলে জানতে পারবেন। এবং
তাছাড়াও ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে ও বলা হয়েছে, এবং আপনি যদি
ইসবগুলের ভুসি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এবং তাই আপনি যদি একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হন তাহলে ইসবগুলের ভুসির সম্পর্কে
বিস্তারিত জানবেন। এই আর্টিকেলে ইসবগুলের ভুসির সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে নিচে
আলোচনা করা হয়েছ।
পেজ সূচিঃ ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা
- ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার উপকারিতা
- ইসবগুলের ভুসি ও তোকমা খাওয়ার উপকারিতা
- খালি পেটে ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার উপকারিতা
- রাতে ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার উপকারিতা
- ওজন কমাতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
- ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার অপকারিতা
- ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
- শেষ কথাঃ ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা অনেক, কারণ ইসবগুলের ভুসিতে অনেক পুষ্টি উপাদান
রয়েছে যা একজন মানুষের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ১ চা চামচ ইসবগুলের
ভুসিতে ৫৩% ক্যালোরি থাকে, ১৫ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ১৫ গ্রাম র্শকরা, ০% ফ্যাট, ৩০
মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৯ মিলিগ্রাম আয়রন রয়েছে যা একজন মানুষের শরীরকে সবল
রাখতে সাহায্য করে করে থাকে।
পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখতেঃ আপনি যদি নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খান তাহলে
ইসবগুলের ফাইবার prebiotic হিসেবে কাজ করে থাকে। এবং পরিপাকতন্ত্রের উপকারী
জীবেদের খাবার দেওয়ার মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ ও সবল এবং সক্রিয় রাখতে
সাহায্য করে থাকে।
ওজন নিয়ন্ত্রণেঃ ইসবগুলের ভুসি ওজন নিয়ন্ত্রণে খুব কার্যকরী কারণ ইসবগুলে
যে ফাইবার থাকে যা আপনার পরিপাককে ধীর করে এবং পেট অনেক সময় ভরা থাকে যা আপনাকে
বার বার খাওয়া থেকে বিরত রাখে এবং অতিরিক্ত ক্যালোরি থেকে দূরে রাখে যা আপনাকে
ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে।
খারাপ কোলেস্টেরল LDL দূর করতেঃ আপনি যদি নিয়ম করে ইসবগুলের ভুসি খেয়ে
থাকেন, তাহলে ইসবগুলের মধ্যে থাকা যে ফাইবার ও অন্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা আপনার
শরীরে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল LDL কমাতে সাহায্য করে থাকে। এবং ভালো কোলেস্টেরল
HDL বাড়াতে সাহায্য করবে।
হৃদরোগের ক্ষেত্রেঃ ইসবগুলের ভুসি হৃদরোগের ক্ষেত্রে খুব উপকারি। কারন
ইসবগুলের ভুসি খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে আর ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে
ফলে হৃদরোগ কমাতে সাহয্য করে থাকে। তাই আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ইসবগুলের
ভুসি খেতে পারেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ ইসবগুলের ভুসি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য খুবই
উপকারী। গবেষকরা বলেছেন যে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা যদি খাবার তালিকায়
ইসবগুলের ভুসি রাখতে পারে তাহলে তাদের খাবারের Glycmic index কমিয়ে দেয় ফলে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুব কার্যকারী ফল দেয়।
এবং তাছাড়াও ইসবগুলের ভুসি গ্যাস্ট্রিক দূর করে, প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করে,
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং ডায়রিয়া দূর করে থাকে। এ জন্য আপনি ডাক্তারের পরামর্শ
অনুযায়ী নিয়ম করে ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন ভালো ফল পাবেন। নিম্নে
আরো ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বলা হয়েছে।
গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার উপকারিতা কিন্তু অনেক রয়েছে। গর্ভাবস্থায়
প্রায় বেশির ভাগ নারী কোষ্ঠকাঠিন্য ও কষা পায়খানার মতো সমস্যাই ভুগে থাকেন। এ
সমস্যা দূর করতে কিন্তু ইসবগুলের ভুসি খুব উপকারি।
এবং গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে ১ গ্লাস পানিতে ইসবগুলের ভুসি
পরিমাণ মতো দিয়ে মিশিয়ে খেয়ে নিতে হবে তাহলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। কিন্তু আপনি যদি
ভিজিয়ে রেখে সকালে খান তাহলে ভালো ফল পাবেন না।
ইসবগুলের ভুসি ও তোকমা খাওয়ার উপকারিতা
ইসবগুলের ভুসি ও তোকমা খাওয়ার উপকারিতা হচ্ছে যে, যারা ওজন কমাতে ও পেটের মেদ
কমাতে চান তাদের জন্য খুব উপকারি তাছাড়াও অনান্য উপকারিতা ও রয়েছে। কিন্তু যারা
বিশেষ করে ওজন ও পেটের মেদ কমাতে চান তাদের জন্য খুব উপকারি।
আরো পড়ুনঃ ডুমুর পাতার উপকারিতা
তাদের জন্য ১ গ্লাস পানিতে ১ টেবিল চামচ তোকমা দানা ২০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রেখে
তারপর ইসবগুলের ভুসি ১ বা ২ চা চামচ নিয়ে ভিজানো তোকমা দানার সাথে মিশিয়ে সঙ্গে
সঙ্গে খেতে হবে।
খালি পেটে ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার উপকারিতা বলতে মূলত যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস,
আমশায়, হজমের মতো সমস্যায় ভুগে থাকেন তা দূর করতে খুব উপকারি। এ জন্য আপনি ৫ থেকে
১০ গ্রাম ইসবগুলের ভুসি হালকা গরম বা ঠান্ডা পানিতে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে সকালে
বা রাতে খালি পেটে খেতে পারেন তাহলে ভালো ফল পাবেন।
রাতে ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার উপকারিতা
রাতে ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। যাদের আমশায় মতো সমস্যা রয়েছে
তা দূর করতে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১ গ্লাস ইসবগুলের শরবত ও সকালে ১ গ্লাস
ইসবগুলের শরবত খেতে পারেন তাহলে ভালো ফল পাবেন।
ওজন কমাতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
ওজন কমাতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে, ২৪০ মিলিলিটার পানির সাথে ২ চা
চামচ ইসবগুলের ভুসি এবং তার সাথে ১ বা ২ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে সকালে খালি পেটে
খেতে হবে। ফলে অনেক সময় পেট ভরা ভাব থাকে এবং খাদ্যনালি পরিষ্কার থাকে চর্বি
কমাতে সাহায্য করে থাকে। এর ফলে আপনার ওজন জনিত সমস্যা দূর করতে বা কমাতে সাহায্য
করে থাকে।
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার অপকারিতা
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার অপকারিতা ও রয়েছে। কোনো কিছু অতিরিক্ত ভালো না, আপনি যদি
নিয়ম মাফিক ছাড়া অতিরিক্ত ইসবগুলের ভুসি খান তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে
পারে। যদি আপনার পেট বেথা, পেট কামড়ানোর মতো সমস্যা থাকলে ইসবগুলের ভুসি খাবেন না
ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
এবং আপনার যদি শ্বাস নিতে সমস্যা থাকে, ত্বকের rash উঠে, গলা ও মুখ ফুলা থাকে,
মাথা ঘুরে এবং বমি হলে তাহলে ইসবগুলের ভুসি খাবেন না ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে, প্রথমে আপনাকে ১ গ্লাস পানি নিয়ে তার সাথে ১
চা চামচ ইসবগুলের ভুসি নিয়ে এবং আপনি চাইলে সামান্য চিনি নিয়ে সব গুলে এক সাথে
মিশিয়ে তখনি খেয়ে নিবেন। অনেক সময় ভিজিয়ে রেখে খেলে বা সকালে খেলে কোনো ফল পাবেন
না বরং কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
শেষ কথাঃ ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে ইতি মধ্যে জেনে গিয়েছেন।
এবং তাই আপনার শরীরকে সুস্থ্যে রাখতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম করে
ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন তাহলে ভালো ফল পাবেন।
এবং আপনার যদি এই আর্টিকেল পড়ার মাধ্যেমে ভালো লেগে থাকে, তাহলে এরকম আরো বেশি
বেশি তথ্য পাতে আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
ট্রিক্সপ্রমোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url