চিয়াসিড দিয়ে রূপচর্চা এবং চিয়াসিডের বিস্তারিত সম্পর্কে জানুন
চিয়াসিড দিয়ে রূপচর্চা কিভাবে করতে হয় এবং চিয়াসিড খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে জানতে পারবেন। আপনি যদি জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তাছাড়াও আজকের এই আর্টিকেলে জানতে পারবেন চিয়াসিড খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সব কিছুর সম্পর্কে বিস্তারিত হবে। তাই আপনি একটু সময় নিয়ে নিচের আর্টিকেলটি পড়ুন।
পেজ সূচিঃ চিয়াসিড দিয়ে রূপচর্চা
- চিয়াসিড দিয়ে রূপচর্চা
- চিয়াসিড খাওয়ার উপকারিতা
- চিয়াসিড কি প্রেসার কমায়
- চিয়াসিড কিডনির জন্য কতটা ভালো
- চিয়াসিড ও মধু খাওয়ার উপকারিতা
- চিয়াসিড সপ্তাহে কতদিন খাওয়া উচিত
- বাচ্চাদের জন্য চিয়াসিড এর উপকারিতা
- ওজন কমাতে চিয়াসিড খাওয়ার নিয়ম
- চিয়াসিড খাওয়ার সময় সম্পর্কে
- চিয়াসিড এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- শেষ কথাঃ চিয়াসিড দিয়ে রূপচর্চা
চিয়াসিড দিয়ে রূপচর্চা
- চিয়াসিড দিয়ে রূপচর্চা ও করা যায়, শুষ্ক ও নিজের ত্বক উজ্জ্বল করতে চিয়াসিড ব্যবহার করতে পারেন তাহলে ভালো ফল পাবেন। মহিলারা তারা স্ক্রাব ব্যবহার করে থাকেন এবং স্ক্রাব এর সাথে চিয়াসিড যোগ করেন। দুই চা চামচ চিয়া সিডের সাথে তিন চা চামচ নারিকেলের তেল এবং কিছু সামান্য পরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে নিন এবং তার সাথে এক ফোটা ভিটামিন ই যোগ করুন।
- তারপর আপনার মুখে স্ক্রাব করুন এবং 20 মিনিট রেখে দিন। এবং সবশেষে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন এইভাবে আপনি সপ্তাহে দুই তিন দিন ব্যবহার করুন তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন। ব্রণ এবং পিম্পলের মত যাদের সমস্যা রয়েছে তারাও চিয়াসিডের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
- চিয়াসিডের সাথে ওটস এবং অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিয়ে তারপর মুখে লাগান এরপর হাত দিয়ে ম্যাসাজ করুন কিছু সময় পর ধুয়ে ফেলুন তারপর দেখবেন আপনার ত্বকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করেছে।
চিয়াসিড খাওয়ার উপকারিতা
- চিয়াসিড খাওয়ার উপকারিতা প্রচুর তাই চিয়াসিডকে সুপারফুট বলা হয়ে থাকে। কারন চিয়াসিডে ওমেগা-৩ রয়েছে যা একজন মানুষের হৃদরোগের ঝঁকি কমাতে সাহায্য করে থাকে এবং ক্ষতিকারক কোলেস্টেরোল দূর করতে সাহায্য করে থাকে। চিয়াসিডে প্রচুর পরিমান আন্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা একজন মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।
- এবং চিয়াসিড ইনসুলিন সংবেদনশীল করতে সাহায্য করে থাকে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে ও দিতে পারে এ জন্য একজন মানুষের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে আরও সাহায্য করে থাকে।
- চিয়াসিড একজন মানুষের ব্লাড সুগারের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে থাকে।
- চিয়াসিড একজন মানুষের ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে থাকে।
- একজন মানুষের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারন চিয়াসিড খাওয়ার ফলে খাবারের আগ্রহ কমাতে সাহায্য করে ফলে ক্ষুধা নিবারন করে যার ফলে একজন মানুষের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে।
- চিয়াসিডে উচ্চ পরিমান ফাইবার, প্রোটিন, স্বাস্থ্যে কর চর্বি এবং শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্যে করে।
- কোলন পরিষ্কার রাখতে চিয়াসিড সাহায্য করে থাকে, এ জন্য একজম মানুষের কোলন কান্সারের ঝুঁকিও কমাতে সাহায্য করে থাকে।
- যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে তারা যদি নিয়ম করে চিয়াসিড খেতে পারে তাহলে অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে থাকে।
- চিয়াসিডে ডিমের চেয়ে ৩গুন বেশি পরিমানে প্রোটিন রয়েছে যা একজন মানুষের শরীরের জন্য বেশ কার্যকারী।
- চিয়াসিডে দুধের চেয়ে ৫গুন বেশি পরিমানে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় যা একজন মানুষের শরীরের হাড়কে মজবুদ করতে সাহায্য করে থাকে এবং হাড়ের স্বাস্থ্যে ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে।
- চিয়াসিডে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকায় হাঁটুর ব্যথা এবং জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
- এবং চিয়াসিড দিয়ে রূপচর্চা ও করা যায়। চিয়াসিড ত্বক, নখ, চুল সুন্দর রাখতে সাহায্য করে থাকে।
চিয়াসিড কি প্রেসার কমায়
- চিয়াসিড কি প্রেসার কমায়? বর্তমানে প্রেসার একটা কমন রোগ কম বেশি সকলেরই এই সমস্যা দেখা দেয়। সাধারনত যারা বেশি পরিমান টেনশন করে থাকে তাদেরই হাইপ্রেসারের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। একজন মানুষের দেহের রক্ত চাপ যদি ১২০/৮০ মিলিমিটার পারদ হয়ে থাকে তাহলে সেইটা স্বাভাবিক হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
- কিন্তু এর চেয়ে কোন ব্যক্তির যদি বেশি পরিমান হয়ে থাকে ১৪০/৯০ মিলিমিটার পারদ তাহলে তাকে হাই ব্লাড প্রেসার মধ্যে ধরা হয়ে থাকে।
- কিন্তু চিন্তা করবেন না আপনার জীবনধারন,ডায়েট একটু বদলালেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কারণ চিয়াসিডকে সুপারফুট হয়ে থাকে। চিয়াসিডে এমন কিছু গুণাবলী রয়েছে যা বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময় করতে সাহায্য করে থাকে।
- এবং প্রেসার কমানোর জন্য এক কাপ পানিতে চিয়াসিড ভিজিয়ে রাখুন এবং একঘন্টা পর্যন্ত রাখুন তারপর একটা লেবুর অর্ধেকটা কেটে তার রস চিয়াসিডের সাথে মিশিয়ে নিন। এবং আপনি যদি স্বাদ করে খেতে চান তাহলে হালকা একটু মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। তারপর সকাল বেলায় খালি পেটে খেয়ে নিন তাহলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
- তবে মনে রাখবেন যাদের প্রেসার রয়েছে তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। কারণ প্রেসার রোগীদের বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেতে হয় ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।
চিয়াসিড কিডনির জন্য কতটা ভালো
- চিয়াসিড কিডনির জন্য কতটা ভালো সে ক্ষেত্রে যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের চিয়াসিড খুব কার্যকারী। কিডনির সমস্যা যাদের রয়েছে তাদের খাদ্য তালিকা একটু ভিন্ন হয়ে থাকে। চিয়াসিড একজন মানুষের জন্য খুব উপকারি কারন চিয়াসিডে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা একজন মানুষের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খুব কার্যকারী।
- চিয়াসিডে প্রচুর পরিমান ফাইবার রয়েছে এবং প্রোটিন, মিনারেল যা একজন মানুষের কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য খুব কার্যকারি। এবং কিডনি ভালো রাখার পাশাপাশি কিন্তু চিয়াসিড দিয়ে রূপচর্চা তেও খুব কার্যকারী। এবং চিয়াসিডে থাকা ফাইবার কোন ব্যক্তির রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে। এবং খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে দেয়। ফলে কিডনির জন্য খুব ভালো ফল দেয়।
- কিন্তু যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে কারণ কিছু ক্ষতিকারক দিক রয়েছে যা কিডনি রোগীদের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। চিয়াসিডে ফসফরাসের পরিমাণ এবং পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে।
- যা কিডনি রোগীদের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে তাই খাওয়ার আগে কিডনি রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। তাহলে কিডনি রোগীরা ভালো ফল পাবে।
চিয়াসিড ও মধু খাওয়ার উপকারিতা
চিয়াসিড ও মধু খাওয়ার উপকারিতা প্রচুর, আপনি যদি চিয়াসিড ও মধু মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে। এ ক্ষেত্রে আপনাকে ১/২ চা চামচ চিয়াসিডের সাথে আপনি যদি মধু মিশিয়ে নিয়ে খেতে পারেন তাহলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
এবং যারা অল্প পরিশ্রমে ক্লান্তি অনুভব করবেন এবং সকালে হাঁটতে যান কিংবা এক্সারসাইজ করেন তাদের জন্য এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন ক্লান্তি দূর হবে।
চিয়াসিড সপ্তাহে কতদিন খাওয়া উচিত
চিয়াসিড সপ্তাহে কতদিন খাওয়া উচিত? চিয়াসিড কমপক্ষে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন সকালে খালি পেটে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে ১ থেকে ২ চা চামচ পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপর ২০ থেকে ৩০ মিনিট পরে বিভিন্ন স্মুদি, সালাদ, এবং বিভিন্ন ধরনের ফলের রসের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন।
এর ফলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ হবে ডায়াবেটিস কমবে হৃদ রোগের মত সমস্যার সমাধান হবে এবং অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করবে তাই কোন মানুষ যদি সপ্তাহে দুই থেকে চার দিন নিয়ম করে চিয়াসিড খেতে পারেন তাহলে তার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ফলাফল পাবেন। এবং তাছাড়াও আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করতে ও চিয়াসিড খুব কার্যকারী কারন চিয়াসিড দিয়ে রূপচর্চা ও করা যায়।
বাচ্চাদের জন্য চিয়াসিড এর উপকারিতা
বাচ্চাদের জন্য চিয়াসিড এর উপকারিতা অনেক। চিয়াসিডে সলিউবল ফাইবার থাকে যা শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। চিয়াসিডে একজন মানুষের দৈনিক চাহিদার প্রায় ৪২% আয়রন থাকে।
এবং চিয়াসিড ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, সমূদ্ধ হাওয়াই শিশুদের বেশি গঠনে কার্যকরী ভূমিকা রাখে তাছাড়াও সুগার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে। তাই আপনার শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষাতে নিয়ম করে আপনি চিয়াসিড খাওয়াতে পারেন।
ওজন কমাতে চিয়াসিড খাওয়ার নিয়ম
ওজন কমাতে চিয়াসিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে গবেষকরা বলেছেন যে, কোন মানুষ যদি সকালে খালি পেটে ও রাতে ঘুমানোর আগে যদি এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ চিয়াসিড এবং দুই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন।
এবং খাওয়ার আগে অন্তত ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপর সেবন করতে হবে। একজন মানুষের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে প্রতিদিন প্রায় ২০ থেকে ৩০ গ্রাম চিয়াসিড খাওয়ার আদর্শ নিয়ম। এবং ওজন কমানোর পাশাপাশি চিয়াসিড দিয়ে রূপচর্চা ও করা যায়।
চিয়াসিড খাওয়ার সময় সম্পর্কে
চিয়াসিড খাওয়ার সময় সম্পর্কে একজন মানুষ কমপক্ষে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন সকালে খালি পেটে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে এবং রাতে খাওয়ার আগে এক থেকে দুই চা চামচ চিয়াসিড এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে ২০ থেকে ৩০ মিনিট পরে আপনি খেতে পারেন।
তবে চিয়াসিডের কোন নিজস্ব স্বাদ থাকে না ফলে আপনি যে কোন সালাত ও অন্যান্য ফলের জুসের সাথে স্বাদ বাড়ানোর জন্য খেতে পারেন। এবং একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের জন্য নিয়ম করে সপ্তাহে কমপক্ষে তিন থেকে চারদিন এভাবে খাওয়া উচিত তাহলে স্বাস্থ্যের জন্য কার্যকরী ফলাফল পাবেন।
চিয়াসিড এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- চিয়াসিড এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও রয়েছে, কোন মানুষ যদি অতিরিক্ত চিয়াসিড খাই তার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
- বেশি পরিমান চিয়াসিড খাওয়ার ফলে তার গলায় আটকে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে।
- অতিরিক্ত চিয়াসিদ খাওয়ার ফলে একজন মানুষের পেট ব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে।
- অতিরিক্ত চিয়াসিড খাওয়ার ফলে কোন মানুষের এলার্জি জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- এবং কোন ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত চিয়াসিড খাই তাহলে তার বদহজমের মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
- এবং অতিরিক্ত চিয়াসিড খাওয়ার ফলে একজন মানুষের রক্তচাপ বেশি কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কোন মানুষের উচ্চ রক্ত চাপ থাকলে তার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিয়াসিদ খাওয়া উচিত।
শেষ কথাঃ চিয়াসিড দিয়ে রূপচর্চা
চিয়াসিড দিয়ে রূপচর্চা এবং চিয়াসিড খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা তার সবকিছু বিস্তারিত সম্পর্কে। তাই আপনি যদি একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত চিয়াসিড সেবন করবেন তাহলে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ফলাফল পাবেন
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি যদি একটু উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনার পরিচিতদের শেয়ার করবেন। এবং এরকম আরো তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
ট্রিক্সপ্রমোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url