দাঁতের শিরশিরানি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত

আয়রন ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয়দাঁতের শিরশিরানি দূর করার উপায় সম্পর্কে আপনারা এই আর্টিকেলে জানতে পারবেন। এবং তাছাড়াও দাঁতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় সহ দাঁতের যাবতীয় সমস্যার সমাধান ও তার প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
তাই দাঁতের যেকোন সমস্যায় চিন্তিত হওয়ার কোন কারন নাই, সমস্যা আছে তার সমাধান ও আছে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে দাঁতের যাবতীয় সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায় তার সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে নিচে আলোচনা করা হয়েছে।

পেজ সূচিঃ দাঁতের শিরশিরানি দূর করার উপায়

দাঁতের শিরশিরানি দূর করার উপায়

  • দাঁতের শিরশিরানি দূর করার উপায় এ প্রথমে দাঁতের শিরশিরানি ভাব দূর করতে আপনাকে এক গ্লাস হালকা গরম পানির সাথে আধা চামচ লবন মিশিয়ে কমপক্ষে ৩০ সেকেন্ড সেই পানি মুখে রাখুন ভালো ফল পাবনে।
  • এবং আপনি যদি এক চা চামচ হলুদ, আধা চামচ সরিষার তেল এবং আধা চামচ লবন এক সাথে মিশিয়ে দাঁতে লাগাতে পারেন তাহলে আপনার দাঁতের শিরশিরানি ভাব দূর করতে সাহায্য করবে।
  • এবং হলুদে কারকিউমিন একটি উপাদান থাকে যা জীবাণুনাশক ও প্রদাহনাশক হিসেবে খুব কার্যকারী।

দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায়

  • দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে এখানে বলা হয়েছে। এবং দাঁতের পোকাকে ডেন্টাল ক্যারিজ বলা হয়ে থাকে। ক্যারিজ প্রতিরোধ করতে আপনাকে ব্যালেন্সড ফ্লোরাইড টুথপেস্ট দিয়ে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এবং সকালে খাবার খাওয়ার পরে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। এবং দুই মিনিট এর বেশি দাঁত ব্রাশ না করার চেষ্টা করবেন।
  • খাবার খাওয়ার পর দীর্ঘসময় জমে না থাকে সে জন্য মাউথ ওয়াশ বা হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ কুলি করে নিতে পারেন। এবং এমন টুথপেস্ট ব্যবহার করবেন যাতে এনামেল রিপেয়ার করে থাকে। মিষ্টিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।
অন্তত্য বছরে দুই বার ডেন্টাল পরামর্শের কাছে থাকে পরীক্ষা করে দেখার চেষ্টা করবেন।

দাঁতের কালো দাগ কিভাবে দূর করা যায় 

  • দাঁতের কালো দাগ কিভাবে দূর করা যায় এবং যাদের দাঁতের কালো দাগের সমস্যা রয়েছে তারা যদি সপ্তাহে একবার করে লবন ও সরিষার তেল মিশিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে পারেন তাহলে দাঁতের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
  • যারা নিয়মিত ধূমপান করে থাকেন বিড়ি সিগারেট, পান ইত্যাদি তাদের কিন্তু দাঁতের কালো দাগ হওয়ার বেশি সম্ভাবনা থাকে এগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।
  • এগুলোর কারনে নিয়মিত ব্রাশ করবেন এবং মাউথ ওয়াশ দিনে একবার ব্যবহার করবেন তাহলে দাঁগ কমাতে সাহায্য করবে।
  • তেজপাতার পাউডারের সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে দাঁত মাজুন তাহলে দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।
  • এবং বিট লবনের সাথে সরিষার তেল মিশিয়ে দাঁত মাজুন তাহলে দাগ দূর করতে সাহায্য করবে। দাঁতের কালো দাগ দূর করার পাশাপাশি দাঁতের শিরশিরানি দূর করার উপায় কি সে গুলো সম্পর্কেও জানা দরকার।

দাঁত ব্যথায় কোন এন্টিবায়োটিক ভালো

দাঁত ব্যথায় কোন এন্টিবায়োটিক ভালো এ সম্পর্কে ডেন্টাল পরামর্শকরা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন তা অ্যামোক্সিসিলিন, পেনিসিলিন যা দাঁতের সাধারন সংক্রমনের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু অনেক রোগী বিশেষ এই অ্যান্টিবায়োটিক প্রতি অসংবেদনশীল। এবং এলার্জির সমস্যা থাকলে এর পরির্বতে এরিথ্রোমাইসিন ব্যবহার করা যায়।

কিভাবে দাঁতের হলুদ দাগ দূর করা যায়

  • কিভাবে দাঁতের হলুদ দাগ দূর করা যায়। অনেক কারনে দাঁতে হলুদ দাগ হয়ে থাকে এবং খাবারের খাওয়ার পরে দাঁতের গোড়ায় বা মাড়িতে খাবারের টুকরো লেগে থাকে যা পচে যেয়ে দাঁতে হলুদ দাগ সৃষ্টি করে। যা দাঁতের ব্যথা বা শিরশিরানি অনুভাব হতে পারে কিন্তু এতে ভয়ের কারন নেই দাঁতের শিরশিরানি দূর করার উপায় রয়েছে।
  • এবং আপনার দাঁতের এই হলুদ দাগ দূর করতে আপনি যেই টুথপেষ্ট ব্যবহার করেন তার সাথে সামান্য পরিমান বেকিং সোডা মিশিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন তাহলে হলুদ দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।
  • এবং এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো তার সাথে এক চা চামচ নারিকেলের তেল মিশিয়ে ব্রাশ করুন ভালো ফল পাবেন। এবং ৫ মিনিট ব্রাশ করার পর আবার সালফেটহীন মাজন দিয়ে ব্রাশ করুন তাহলে দাঁতের হলুদ দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।
  • এগুলোর পাশাপাশি আপনাকে দিনে দুই বার ব্রাশ করতে হবে। কারন খাবারের পর দাঁতের গোড়ায় বা মাড়িতে খাবার লেগে থাকে যা পচে যেয়ে হলুদ দাগ সৃষ্টি করতে পারে সে জন্য সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • এগুলোর পাশাপাশি উপরে আলোচনা করা হয়েছে দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সে বিষয় টা খেয়াল রাখা উচিত।

দাঁতের ক্যাভিটি দূর করার উপায়

  • দাঁতের ক্যাভিটি দূর করার উপায় এ সম্পর্কে গবেষনায় দেখা গেছে ভিটামিন ডি ক্যাভিটি দূর করতে সাহায্য করে থাকে। কুসুম গরম পানি করে তার সাথে লবন মিশিয়ে কুলি করলে মুখের ভিতরের ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারেনা ফলে ক্যাভিটি ভালো করে। এবং এর মাধ্যেমে দাঁতের শিরশিরানি দূর বা দাঁতের শিরশিরানি দূর করার উপায় ও পেয়ে থাকেন।
  • ডিমের খোসা ক্যাভিটি দূর করতে সাহায্য করে। এ জন্য আপনাকে একটি পাত্রে ডিমের খোসা কয়েক মিনিট সেদ্ধ করে নিন এবং শুকিয়ে গুঁড়া করে নিয়ে তার সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে পাউডার তৈরি নিন।
  • দাঁতের যে স্থানে ক্যাভিটি হয়েছে সে স্থানে লবঙ্গের তেল প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বার লাগালে ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। এর কারন হচ্ছে লবঙ্গ অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল রয়েছে।
  • ক্যাভিটি দূর করতে পেয়ারার পাতা খুব কার্যকারী। কারন পেয়ারার পাতায় প্রচুর পরিমান অ্যান্টি- মাইক্রোবিয়াল রয়েছে যা ক্যাভিটি দূর করতে উপকারি। এবং ফুটন্ত পানিতে পেয়ারার পাতার গুঁড়া মিশিয়ে মাউথ ওয়াশ এর মতো ব্যবহার করতে হবে।

দাঁতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়

  • দাঁতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং তার সাথে দাঁতের শিরশিরানি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানবো। এবং প্রাকৃতিক মাউথ ওয়াশ বলা হয় লবন কে যা দাঁতের মধ্যে যেসব নোংরা জীবাণু থাকে তাকে নিঃশেষ করে দেয়। এ জন্য আপনি নিয়ম করে হালকা গরম পানিতে ১ থেকে ২ চা চামচ লবন মিশিয়ে কুলকুচি করেন তাহলে ভালো ফল পাবেন। 
  • এছাড়া ও লবণের সাথে আপনি যদি গোল মরিচ মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করে যেখানে ব্যথা সেখানে লাগিয়ে রাখেন কিছু সময় দেখবেন ভালো ফল দিবে।
  • দাঁতের ব্যথা দূর করতে আলু ও কিন্তু খুব কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। যেখানে ব্যথা অনুভব করবেন সেখানে আলু কেটে চেপে রাখুন দেখবেন ব্যথা কমে যাবে।
  • ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলুন যেমন আইস্ক্রিম, কোমল পানীয়, ফ্রিজের পানি এগুলো খেলে দাঁতের ব্যথা শুরু হতে পারে বা চিনচিন করতে পারে এ জন্য এই গুলো খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।
  • ফিটকিরি কিন্তু দাঁতের ব্যথার জন্য খুব কার্যকারী। যেখানে দাঁতের ব্যথা অনুভব করবেন সেখানে ফিটকিরি লাগাবেন তাহলে দেখবেন খুব দ্রুত ব্যথা কমে যাবে।
  • রসুন দাঁতের ব্যথার জন্য ভালো ফল দেয়। যদি আপনি চিবিয়ে খেতে না পারেন তাহলে রসুনের কোয়া ব্যথার স্থানে লাগিয়ে রাখেন দেখবেন ব্যথা কমে গেছে।
  • এবং তাছাড়াও পেয়ারার পাতাও খুব কার্যকারী দাঁতের ব্যথা দূর করতে। পেয়ারার দুটি পাতা চিবিয়ে ব্যথার স্থানে চেপে রাখুন দেখবেন ব্যথা কমাতে সাহায্য করছে। এবং ব্যথা যদি বেশিদিন থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। এবং দাঁতের শিরশিরানি দূর করার উপায় কি সেটাও জানতে হবে।

দাঁতের মাড়িতে ইনফেকশন কেন হয়

দাঁতের মাড়িতে ইনফেকশন কেন হয় তার কারন হচ্ছে মুখের যত্ন না নেওয়া। মুখের যত্ন না নেওয়ার ফলে মুখে মাইসোসিস এবং ব্যাকটেরিয়া মাড়ির ফাকে জমা হতে শুরু করে যে টাকে বলা হয় থাকে ডেন্টাল প্লাক। এবং অপুষ্টি, দাঁতের পর্যাপ্ত যত্ন না নেওয়া, ডায়াবেটিস, স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ ব্যবহারের ফলে এ রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।

দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ

দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ প্রথমে আপনার যদি মাড়ি থেকে রক্তপাত, আলগা দাঁত, অবিরাম কানে ব্যথা, ঠোঁট ও চিবুকের অসাড়তার অনুভব করা এবং ফোলাভাব এগুলো দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সা*রের লক্ষন ও উপসর্গ। এবং দাঁতের মাড়ির ক্যান্সা*র অরোফ্যারিনক্সে গলার পিছনে প্রসারিত হয়ে থাকে তখন গিলতেও সমস্যা হতে পারে।

দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়

  • দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় এ প্রথমে আপনাকে দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত যেনো না পড়ে সে জন্য একটি নরম ব্রিস্টেড টুথব্রাশ দিয়ে আপনাকে আলতো করে ব্রাশ করতে হবে।
  • এবং দাঁতের মাড়ি থাকে রক্ত বন্ধ করতে আপনাকে নিয়মিত ফ্লস করতে হবে।
  • হালকা গরম পানি ও লবন দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন তাহলে রক্ত বন্ধে ভালো ফল আসবে।
  • এবং আপনার দাঁতের রক্ত পড়া বন্ধ করতে একটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।

দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায়

দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায় এ আপনাকে নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার করতে হবে। এবং কম চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া অল্প পরিমানে ফ্লোরাইড ব্যবহার করা। এবং আপনাকে অন্তত্য দিনে দুই বার দাঁত ব্রাশ করতে হবে এবং তাছাড়াও প্রতিদিন একবার করে ফ্লস করতে ডাক্তারা পরামর্শ দিয়ে থাকে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে ক্ষয় রোধ করতে পারবেন। 

দাঁতের ফিলিং এর খরচ সম্পর্কে 

দাঁতের ফিলিং এর খরচ সম্পর্কে যে গুলো বেসরকারি চেম্বার রয়েছে সে গুলোতে সাধারনত দাঁতের পরিস্থিতি অনুযায়ী ফিলিং করে থাকে। যেমন ফিলিং করতে ১ হাজার টাকা, স্কেলিং করতে ১৫০০ টাকা, রুট ক্যানেল করতে ৪ হাজার টাকা, দাঁত লাগাতে ২ হাজার টাকা।
এবং আপনার ক্যাপ লাগানো বা মিসিং দাঁতের ক্ষেত্রে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে থাকে আবার আপনি যদি ইমপ্লান্ট করেন তাহলে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা নিয়ে থাকে।

শেষ কথাঃ দাঁতের শিরশিরানি দূর করার উপায়

দাঁতের শিরশিরানি দূর করার উপায় এবং কি কি কারনে দাঁতের সমস্যা হতে পারে এবং সে সমস্যা থেকে সমাধানের উপায় কি যাবতীয় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনেছেন। তাই আপনি যদি একজন স্বাস্থ্যে সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে উপরে বর্ণিত নিয়ম অনুযায়ী চলার চেষ্টা করবেন আশা করি ভালো ফল পাবেন।
এবং আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যেমে যদি আপনি একটু উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনার পরিচিতদের কাছে শেয়ার করবেন। এবং এরকম আরো বেশি বেশি তথ্য পেতে আমার ওয়েব সাইট ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ট্রিক্সপ্রমোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url