এ্যাজমা হলে কি কি খাওয়া নিষেধ তার বিস্তারিত

এ্যাজমা হলে কি কি খাওয়া নিষেধ এবং এ্যাজমা রোগের ঔষধ কি তার সম্পর্কে তাছাড়াও এ্যাজমা কেনো হয়, কি কি কারনে হতে পারে এরকম এ্যাজমা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
এবং এ্যাজমা হলে তার থেকে মুক্তির উপায় কি, কি কি নিয়ম বা পরামর্শ অনুযায়ী চললে এ্যাজমার মতো সমস্যা দূর করতে পারবেন তার সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

পেজ সূচিঃ এ্যাজমা হলে কি কি খাওয়া নিষেধ

এ্যাজমা হলে কি কি খাওয়া নিষেধ 

  • এ্যাজমা হলে কি কি খাওয়া নিষেধ এবং যাদের এ্যাজমা জনিত সমস্যা রয়েছে তারা শুষ্ক ফল এড়িয়ে চলবেন কারন শুষ্ক ফলে সালফাইট থাকে প্রচুর পরিমানে যা একজন এ্যাজমা রোগীদের জন্য সমস্যা বাড়ায়।
  • যাদের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা রয়েছে তারা অ্যালকোহল জনিত খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। যদিও খেতে ইচ্ছে করে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমান মতো খাবেন অতিরিক্ত খাবেন না।
  • গ্যাস সৃষ্টি করে এমন খাবার খাবেন না এগুলোর মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, সোডিয়াম ও রাসায়নিক বেশি থাকে তার মধ্যে যেমন ভাজা, বার্গার, চিপস, পিজা, কার্বনেটেড পানীয়, রসুন, আচার এগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।

এ্যাজমা কি ধরনের রোগ

এ্যাজমা কি ধরনের রোগ এ্যাজমা হচ্ছে এক ধরনের হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ। এটি একজন মানুষের শ্বাসনালির অসুখ বলা হয়ে থাকে। এ্যাজমা যার আর্থ হচ্ছে, হাঁপান এবং হাঁ করে শ্বাস নেওয়াকে বুঝিয়ে থাকে। এবং হাঁপানি বলতে আমরা বুঝি শ্বাস পথের বায়ু চলাচল প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে তা হচ্ছে শ্বাসকষ্ট।
এবং হাঁপানি হল ফুসফুসীয় শ্বাসনালীর দীর্ঘ মেয়াদি প্রদাহ জনিত একটি রোগ বলা হয়ে থাকে। এবং পিক ফ্লো মিটার এক্সপাইরোটারি ফ্লো এর সর্বোচ্চ মাত্রা নির্ণয়ের পাশাপাশি এটির পর্যাবেক্ষনের ও দুটিরই গুরুত্ব রয়েছে। 
এবং এ ধরণের রোগ হলে কিছু কিছু খাদ্য থেকে বিরত থাকতে হয় যেমন, শুষ্ক ফল ও অ্যালকোল ইত্যদি এরকম খাবার ডাক্তারেরা এ্যাজমা হলে কি কি খাওয়া নিষেধ সেই তালিকায় রাখে।

এ্যাজমা রোগের ঔষধ কি তার সম্পর্কে

এ্যাজমা রোগের ঔষধ কি তার সম্পর্কে এবং তার সাথে এ্যাজমা হলে কি কি খাওয়া নিষেধ তার সম্পর্কে ডাক্তারেরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কোন ব্যক্তির এ্যাজমা বা হাঁপানীর উপশমের প্রথম ঔষধ হচ্ছে ইনহেলার ব্যবহার করা। এটা সাধারনত দু ধরনের হয়ে থাকে, একটি স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি। কোন ব্যক্তির শ্বাস কোষ্টের তাৎক্ষনিক উপশমের জন্য বেশ কয়েক ধরনের ঔষধ, ইনহেলারের মাধ্যেমে ব্যবহার করা হয়ে থাকে যেমন, ফোরমোটেরোল, সালবুটামল, সালমেটেরোল।
এবং হাঁপানীর আক্রমণ না হওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে স্টেরয়েড ইনহেলার।

শ্বাস নিতে কষ্ট হলে কোন ডাক্তার দেখানো উচিত

শ্বাস নিতে কষ্ট হলে কোন ডাক্তার দেখানো উচিত, শ্বাস নিতে কষ্ট হলে একজন মানুষ বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞের পরার্মশ নিতে পারেন। কিন্তু আপনি মনে রাখবেন আপনার কেবল মাত্র ফুসফুসের এবং শ্বাসতন্ত্রের সমস্যার জন্যই শুধু শ্বাসকষ্ট হয় না। একজন মানুষের যদি হৃদপিন্ডের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তার শ্বাসকষ্ট জানিত সমস্যা হতে পারে। 
এবং যারা রক্তশূন্যতার রোগী রয়েছে তারাও এক পর্যায়ে যেয়ে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগতে পারেন। তাই আপনি যদি একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিয়ে থাকবেন তাহলে আপনার সুস্থতার জন্য ভালো ফল পাবেন।

শ্বাসকষ্ট হলে কি ব্যায়াম করা উচিত

  • শ্বাসকষ্ট হলে কি ব্যায়াম করা উচিত সে সম্পর্কে বর্তমান সময়ের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই ঔষধ ছাড়াও তার পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট বা এ্যাজমা হলে কি কি খাওয়া নিষেধ এগুলো যদি একজন মানুষ মেনে চলে তার সাথে কিছু কিছু ব্যায়াম আছে সেই গুলো যদি করে তাহলে শ্বাসকষ্ট নিরাময়ে ভালো ফল পাওয়া যায়। এবং হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট রোগীদের ব্যায়াম করতে মানা নাই, কিন্তু তার সীমার অতিরিক্ত হওয়া যাবেনা।
  • হাঁপানি রোগীরা হালকা জগিং, হাঁটা মতো ব্যায়াম করতে পারেন কিন্তু যে পর্যায়ে আপনি দেখছেন যে আর কুলোতে পারছেন না তখন আপনি থেমে যাবেন, মনে রাখবেন অতিরিক্ত করা যাবেনা তাহলে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
  • এবং যাদের হৃদরোগের মতো সমস্যা রয়েছে তারা মনে রাখবেন অনেক সময় কিন্তু হৃদরোগের জন্য ও শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। তাই যাদের হৃদরোগের মতো সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম করবেন।
  • আপনি যদি শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই মনে রাখবেন আপনার যদি হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া হাঁপানি বা সিভিয়ার অ্যাকিউট অ্যাজমার সময় আপনার ব্যায়াম করা উচিত হবেনা।
  • হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা রয়েছে তারা ব্যায়াম করতে যাওয়ার আগে যদি দুই পাফ সালবিউটামল এবং ইপরাট্রোমিয়াম সমৃদ্ধ ইনহেলার টেনে নিয়ে যদি ব্যায়াম করতে যায় তাহলে তার জন্য খুব ভালো। কারন এটা শ্বাসনালীর প্রসারক হিসেবে সাহায্য করে থাকে যা আপনি পরবর্তীতে ২ থেকে ৪ ঘন্টা শ্বাসকষ্ট থেকে সাহায্য করে থাকে।

শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া উচিত 

  • শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া উচিত এবং শ্বাসকষ্ট বা এ্যাজমা হলে কি কি খাওয়া নিষেধ এগুলো যদি মেনে চলে তাহলে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা দূর সম্ভব। শ্বাসকষ্ট জনিত যাদের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ফল এবং শাকসবজি অপরিহার্য এবং ভিটামিন সি যুক্ত ফল তাদের জন্য খুব ভালো ও কার্যকারী।
  • ভিটামিন সি যুক্ত ফলের মধ্যে যেমন জাম্বুরা, কমলালেবু এবং লেবুর মতো সাইট্রাস ফল যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নিয়মিত এই সাইট্রাস খাওয়ার ফলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।
  • এবং শাকসবজির মধ্যে রয়েছে যেমন পাতাযুক্ত যেগুলো সব সবজি যেমন শাক, বাঁধাকপি, লেটুস ইত্যাদি যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সরবরাহ করতে সাহায্য করে থাকে। এবং শাক সবজিতে ভিটামিন ই থাকে, ম্যাগনেসিয়াম এবং ওমেগা-৩ অ্যাসিড ও থাকে যা ফোলা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
  • এবং তাছাড়াও শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির রোগীদের যেসব খাবার সুস্থ্য থাকার জন্য উপযুক্ত যেমন বাদাম এবং বীজ, গ্রিনটি, মটরশুটি, দই, কেফির, ভেষজ এবং মশলা, চর্বিযুক্ত মাছ ইত্যাদি।
  • চর্বিযুক্ত মাছের মধ্যে আপনি খেতে পারেন যেমন টুনা, ম্যাকেরেল, সার্ডিন, স্যামন, ট্রাউটের যা আপনার হাঁপানি লক্ষন পরিচালনার জন্য ভালো খাবার।
  • ভেজষ এবং মশলার মধ্যে হলুদ, আদা, দারুচিনি, রসুন, কালো মরিচ ইত্যাদি হাঁপানি রোগীদের জন্য খুব উপকারি।

এ্যাজমা হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয়

এ্যাজমা হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয়, আপনার যদি এ্যাজমা হয় তাহলে যেসব লক্ষন দেখে বুঝবেন তা হচ্ছে, সাঁসাঁ করে নিঃশ্বাস,কাশি, বুকে চাপ অনুভব করা, এবং বুকের মাংসপেশি শক্ত হওয়া, পর্যাপ্ত পরিমানে শ্বাস নিতে না পারা।
তাছাড়া আপনার এগুলো একদিনে একাধিকবার হতে পারে আবার এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে দেখা দিতে পারে।
ব্যক্তির অনুযায়ী হাঁপানি লক্ষণ দেখা দিতে পারে কারও রাতে বেশি পরিমান হতে পারে আবার কারো ব্যায়াম খেলাধুলা করলে বাড়তে পারে, এটা ছাড়াও ভারি কাজ করলে বেড়ে যেতে পারে।
কারো কারো হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা বংশের কারণে হতে পারে।

শেষ কথাঃ এ্যাজমা হলে কি কি খাওয়া নিষেধ

এ্যাজমা হলে কি কি খাওয়া নিষেধ এবং তার থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনেছেন। আপনি যদি একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে উপরে বর্ণিত আর্টিকেল অনুযায়ী এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করবেন।

এবং আজকের এই আর্টিকেলের পড়ার মাধ্যমে আপনি যদি একটু উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে আশা করি আপনার পরিচিতদের শেয়ার করবেন। এবং আরো এরকম বেশি বেশি তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ট্রিক্সপ্রমোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url